আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ড. কামালকে স্নেহ করতেন। তাকে স্বাধীন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তাকে এমপি বানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ড. কামাল সাহেব এখন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পক্ষাবলম্বন করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিরাজগঞ্জ সদর ও শাহজাদপুর উপজেলায় পৃথক দু’টি জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের আশ্রয়দাতা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি (ড. কামাল) বক্তব্য রাখছেন। বাংলার মানুষ ভোটের মাধ্যমে এর জবাব দেবে।
তিনি বলেন, সংলাপ হবে- সেখানে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে, তবে সংবিধান লঙ্ঘন করা যাবে না। আওয়ামী লীগ সংবিধানের বাইরে যাবে না। অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে।
ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের এ দাবি অযৌক্তিক। আর মাত্র ক’দিন বাকি আছে নির্বাচনের। এ মুহূর্তে এসব দাবি অকার্যকর।
নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির উদ্দেশে নাসিম বলেন, নির্বাচনের বিকল্প শুধুই নির্বাচন। ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। জনগণ ভোট চায়। আওয়ামী লীগ সব দলের অংশগ্রহণে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন চায়।
নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শাহজাদপুরে দেশের বৃহত্তম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ অসংখ্য উন্নয়ন করেছেন। এসময় উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তিনি আবারও সবাইকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী দিনভর শাহজাদপুর ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে বিকেলে সদর উপজেলার যমুনা নদীর দুর্গম চর মেছড়া ইউনিয়নে নবনির্মিত ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, একই অঞ্চলে তিনটি হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিকের নবনির্মিত ভবন এবং শহীদ এম মনসুর আলীর নামে বাস্তবায়িত একটি পাকা সড়ক উদ্বোধন করেন।
এর আগে সকালে শাহজাদপুর উপজেলার শক্তিপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের নতুন ভবন উদ্বোধন এবং ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। পরে রবীন্দ্র কাচারী বাড়িতে তিনি এক সুধী সমাবেশে যোগ দেন।
পৃথক সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান, কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ লাভলু, এইচইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদ
চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ রহমান। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, গোলাম রব্বানী ও মেছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও মেছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাদশা আলম।