আশরাফুল আলম,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি||ভৈরবকে জেলা বাস্তবায়ন, ট্রেনের যাত্রা বিরতি ও বাইপাস রেললাইন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভৈরববাসী। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমানের শেষ ইচ্ছা ভৈরব জেলা বাস্তবায়নসহ ঢাকা টু কিশোরগঞ্জ রুটে ভৈরবের উপর দিয়ে বাইপাস বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সহস্রাধিক মানুষ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। বক্তারা তিনদফা দাবি আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘন্টা সময় বেঁধে দেন। ৭২ ঘন্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে আগামী মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতাল পালনের ঘোষণা দেন।
গত ৯ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি মো: আব্দুল হামিদ কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের বিরতিহীন ট্রেন চলাচলের জন্য ভৈরবের উপর দিয়ে বাইপাস রেললাইন করার ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পরপরই রেল কর্তৃৃপক্ষ বাইপাস বাস্তবায়নের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে কনসালটেন্টের মাধ্যমে সার্ভের কাজ শেষ করেন। এতে সর্বস্তরের ভৈরববাসীর মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে জাগ্রত জনতা আন্দোলনে নামে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভৈরব শহর আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু, সাপ্তাহিক অবলম্বন পত্রিকার সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ ভৈরবী,যমুনা টিভি ও যুগান্তরের ভৈরব প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান ফারুক, নিরাপদ সড়ক চাই ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: আলাল উদ্দিন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি ও বাংলা টিভির ভৈরব প্রতিনিধি এম.আর সোহেল, ভৈরব মাদক বিরোধী আন্দোলনের আহবায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন অনলাইন ফোরামের সক্রিয় মেম্বার মাহফুজুর রহমান, রাসেল আহমেদ, মেহেদী হাসান রিয়াদ, রাফিজুল হাসান সানজিব, রাহিম আহমেদ, প্রমুখ।