দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা পার্টনারশিপ গড়েছেন মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হক (২৬৬ রান)। অথচ এই দুজন সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ছিলেন একদমই সাদামাটা। একজন মিস্টার ডিপেন্ডেবল আর আরেকজন বাংলাদেশ দলের টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান।
ঢাকা টেস্টে এসে মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের শুকনো উইকেটে ছড়ালেন রানের ফোয়ারা। দুই জনই খেললেন শত রানের ইনিংস। মুমিনুল তো দ্বিশতকের কাছে গিয়েই আত্মাহুতি দিলেন। বিদায় নেন ২৪৭ বলে ১৬১ রান করে।
মুশফিক অবশ্য দিন শেষে অপরাজিত আছেন ১১১ রানে। অথচ দিনের শুরুটা হয়েছিল দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ের মধ্য দিয়ে।
দিনশেষে মুমিনুল এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। চোখে-মুখে দ্বিশতক না ছুঁতে পারার হতাশা ছিল স্পষ্ট। এত বড় সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করা মুমিনুলের পক্ষে অন্তত মেনে নেয়া কষ্টের। তবু নিজের চাইতে ভাবছেন দল নিয়ে।
‘আফসোস তো আছেই। দিনের শেষভাগে আমার জন্য একটা উইকেট হারাতে হয়েছে। আর কিছুক্ষণ টিকে থাকতে পারলে দলের জন্য শেষ সেশনে আরেকটু খেলতে পারলে ভালো হতো। এইটুকু আফসোস ছাড়া আর কোনও আফসোস নেই। আমার খারাপ লাগাটা এখানেই।’
বড় স্কোর করার পেছনে মুশফিকের অবদানের কথাও স্বীকার করেন মুমিনুল।
বাম-হাতি এই ব্যাটসম্যান বললেন, ‘মুশফিক ভাই আমাকে যেভাবে গাইড করেছেন সেটা আমাকে অনুভব করিয়েছে তিনি কেন বাংলাদেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন। উনার প্রতিটা কথা আমাকে রসদ জুগিয়েছে। উনার উপদেশগুলো আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণও হয়ে পড়েন মুমিনুল। দীর্ঘদিন ধরে রানখরায় থাকার পর অর্ধশতককে শতকে টেনে নেয়া। এরপর দেড়’শ থেকে দুইশোর খুব কাছে যাওয়া।
পকেট ডায়নামো খ্যাত এই তারকা আর যোগ করলেন, ‘এই শত রানের ইনিংস থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। আমার যে কয়েকটি সেঞ্চুরি আছে এর মধ্যে এটা অনেক ইন্টারেস্টিং। ব্যাটিং করতেও অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে।’