‘পিংক লিগেসি’কে রঙের উজ্জ্বলতার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ মানের বলা হচ্ছে। লাখের মধ্যে একটি এমন মানের হীরা পাওয়া যায়। এই হীরাটি আকারের দিক দিয়েও বিরল। ১০ ক্যারেটের বেশি হীরার কথা প্রায় শোনাই যায় না।
এই হীরার সবশেষ মালিক কে ছিলেন, তা জানে না ক্রিস্টি’স। তবে এটা একসময় ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ওপেনহেইমের পরিবারে ছিল। তিন প্রজন্ম পর্যন্ত ওই পরিবার ডি বিয়ার্স নামে হীরার খনির প্রতিষ্ঠান চালিয়েছে। ২০১১ সালে তাঁরা প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের অংশীদারত্ব বিক্রি করে দেন।
গোলাপি হীরার মধ্যে এর আগে গত বছরের এপ্রিলে ৫৯ দশমিক ৬ ক্যারেটের ‘পিংক স্টার’ নামের একটি হীরা সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়। হংকংয়ে সোদাবাই’সের নিলামে সেটির দাম উঠেছিল ৭১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৯৪ কোটি ২১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা)।
এরপর গত বছরের নভেম্বরে হংকংয়ে ক্রিস্টি’সের নিলামে ১৫ ক্যারেটের ‘পিংক প্রমিজ’ বিক্রি হয় সাড়ে ৩২ মিলিয়ন ডলারে। ওই হীরাটি ওই সময় ক্যারেটপ্রতি রেকর্ড দামে বিক্রি হয়। প্রতি ক্যারেটের দাম পড়ে ২ দশমিক ১৭৬ মিলিয়ন ডলার (১৮ কোটি ১৬ লাখ টাকার বেশি)। আর ‘পিংক লিগেসি’ সেই রেকর্ড ভেঙে এবার প্রতি ক্যারেট ২ দশমিক ৬৩৭ মিলিয়ন ডলারে (২২ কোটি ৭৭ হাজার টাকার বেশি) বিক্রি হয়েছে।