রাজধানীর হাতিরঝিলের গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ট্যাক্সি চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গায় পাকা বাঁধ নির্মাণেরও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি তারিকুল হাকিম ও বিচারপতি সোহরাওয়ারদীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এছাড়া ওয়াটার ট্যাক্সির সৃষ্ট ঢেউয়ের আঘাতে গুলশান বাড্ডা লেকের তীরবর্তী ওয়াকওয়ে ধসের কারণে লেকপাড়ের ভবনগুলো ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়ায় ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
পাশাপাশি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান, ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান করিম গ্রুপ, পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনারকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদনটি দায়ের করেছিলেন গুলশান সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শুক্লা সারওয়াত সিরাজ। আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
তবে হাইকোর্টের আদেশের ফলে হাতিরঝিলের গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ থাকলেও রামপুরা-এফডিসি রুটে কোনো বাধা নেই।
তবে হাইকোর্টের আদেশের ফলে হাতিরঝিলের গুলশান লেকে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ থাকলেও রামপুরা-এফডিসি রুটে কোনো বাধা নেই বলেও জানা গেছে।
২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে এই রুটে ওয়াটার ট্যাক্সি চলাচল শুরু হয়। এ ওয়াটার ট্যাক্সিতে রাজধানীবাসী বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, খিলগাঁওসহ নগরীর পূর্বাংশের মানুষ কারওয়ানবাজার, মগবাজার, দিলু রোড, ইস্কাটন, বাংলামোটর ও তেজগাঁও এলাকায় যাতায়াত করে