ধনেপাতার উপকারিতা

ধনেপাতার স্বাদ ও গন্ধে বিমোহিত হন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। প্রায় সবরকম তরকারিতেই ধনেপাতা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি যোগ করে বিশেষ সৌরভ। কিন্তু জানেন কি, ধনেপাতা শুধু রান্নার স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়িয়েই ক্ষান্ত হবার না, এর আছে অজানা অনেক গুণ। শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এক ধনেপাতারই রয়েছে হরেক যাদুকরি সক্ষমতা।
চলুন জেনে নিই, স্বাদ-সৌরভ শুধু না, গুণ-মানে অনন্য ধনেপাতা রহস্য।
ধনেপাতায় আছে সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড, যার মধ্যে অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টি-আর্থ্রাইটিক বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যা কি না, ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে।
ধনেপাতায় থাকে লিনোলিক, অলিক, পালমিটিক, স্টেরিক এবং অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ডিসইনফেকট্যান্ট, ডিটক্সিফাইং বা বিষাক্ততারোধকারী, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারণে এ পাতা বিভিন্ন স্কিন ডিজঅর্ডার বা ত্বকের অসুস্থতা সারাতে সাহায্য করে। ত্বক সুস্থ-সতেজ রাখতে তাই ধনেপাতার অবদান অনেক।
বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং পাকস্থলীর নানা সমস্যা সমাধানে ধনেপাতার উপকারিতা অপরিসীম।
ক্যালসিয়াম আয়ন এবং কলিনার্জিক বা অ্যাসেটিকোলিন উপাদান মিলে আমাদের শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম ধনেপাতা।
ধনেপাতা মুখের আলসার দূর করতেও সহায়তা করে।
ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকায় রক্তশূন্যতা দূর করতেও দারুণ সহায়ক।
অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান থাকায় ধনেপাতা অ্যালার্জি দূর করতে সাহায্য করে।
ধনেপাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। যা হাড় মজবুত এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিইনফেকসাস, ডিটক্সিফাইং, ভিটামিন সি এবং আয়রন গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে।
ধনেপাতায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং মিনারেল চোখের যত্নে খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকা মাইক্রোবিয়াল উপাদান ছোঁয়াচে রোগ কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে।
ধনেপাতা শরীরের ইনসুলিন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তে সুগার এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *