আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র গড়তে চান আনিসুল হক চৌধুরী

কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর ও রামু) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন ২৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পর্যটন-উদ্যোক্তা হিসেবে নৌকার ‘মাঝি’ হতে আগ্রহী আনিসুল হক চৌধুরী। দলের মনোনয়নের ব্যাপারেও তিনি আশাবাদী। কারণ তাঁর সঙ্গে আছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনেক সদস্য।

আনিসুল হক চৌধুরী কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতের পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজমপল্লি ‘মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেডে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০০৪ সাল থেকে মাত্র আটজন কর্মী নিয়ে ‘মারমেইড ইকো টুরিজম লিমিটেড’ চালু করেন তিনি। ২০১৮ সালের মধ্যে সেখানে প্রায় ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি কাজ করে চলেছেন। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ খাতের উন্নয়নের জন্য তিনি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন।

ভাষাশহীদ সালামের দৌহিত্র আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি হিসেবে আমাদের পরিবার কাজ করে গেছে সব সময়। বায়ান্নর ভাষা সংগ্রামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। তাই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য কক্সবাজারের হিমছড়ির পাহাড়চূড়ায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মাণ, বঙ্গবন্ধু পর্যটন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতি ১০ কিলোমিটারে একটি করে হাসপাতাল স্থাপন, দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী কর্মী ও তাঁদের সন্তানদের চাকরিসহ কক্সবাজারকে মাদক, মানব পাচারমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটনের প্রতীক করে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জেলেদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী তিনি।’

আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে কক্সবাজারে। কক্সবাজার হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন নগরী। ১০ বছরের মধ্যে কক্সবাজারে গড়ে উঠবে ১০ বিলিয়ন ডলারের পর্যটনশিল্প। তখন পর্যটনের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কক্সবাজারে বিশ্বমানের বঙ্গবন্ধু পর্যটন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রতি ১০ কিলোমিটার অন্তর একটি উন্নতমানের ও সহজলভ্য চিকিৎসাসেবা সংবলিত হাসপাতাল তৈরির জনমুখী পরিকল্পনা মাথায় রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি বড় চালিকাশক্তি। তারুণ্যের বল, নেতৃত্বের দক্ষতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আর শেষ পর্যন্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ আনিসুল হক চৌধুরী নৌকার মাঝি হয়ে দেশ ও দশের সেবা করতে চান। এই লক্ষ্যে তিনি উন্নয়ন পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছেন।

এগুলো হচ্ছে:
১. রোহিঙ্গা শরণার্থী আগমনের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের যে ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত পুনরুদ্ধার ২. ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে জেলেদের স্বাবলম্বী করা ৩. কক্সবাজারকে প্রযুক্তি হাবে রূপান্তরিত করা ৪. কানেকটিভিটি বা কক্সবাজারের সঙ্গে বাইরের দুনিয়ার যোগাযোগ বাড়িয়ে পর্যটনশিল্পের উন্নতি ৫. পরিবেশবান্ধব উপায়ে ঘরে ঘরে উন্নয়ন প্রভৃতি।

আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, কাজের মাধ্যমেও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন সম্ভব। নৌকার মাঝি হতে পারলে সেই স্বপ্ন পূরণ করা তাঁর জন্য কঠিন কিছু হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *