দেশের যে পরিস্থিতি সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনও পরিবেশ নেই। নির্বাচন কমিশন অন্যের ইশারায় চলে।শনিবার নির্বাচন কমিশনে সাত দফা নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, সারা দেশে যেভাবে পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে, এ অবস্থা বন্ধ না হলে নির্বাচনের ন্যূনতম সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে না। এজন্য প্রয়োজন ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিদের বদলি করা। তাহলে কিছুটা পরিবেশ সৃষ্টি হবে। এটা করা না হলে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হবে। আমরা চাই না নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হোক।তিনি আরও বলেন, সারাদেশে এমপি-মন্ত্রীরা পদত্যাগ না করে প্রার্থী হওয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে- এমন বলার সুযোগ নেই। রাতের বেলায় অভিযানের নামে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে। ৯১, ৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে নির্বাচনকালীন প্রশাসনের রদবদল করা হলেও এবার তা না করায় সরকারের আনুগত্যশীল প্রশাসন নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করা কোনও ভাবেই সম্ভব না। তিনি বলেন, সরকার যেভাবে চাচ্ছে প্রশাসন সেইভাবে নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে। নির্বাচন কমিশন তা রোধ করছে পারছে না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ৭জন প্রার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের জামিন হচ্ছে না। বিচারিক আদালত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। সরকারের সাজানো পুলিশ প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন, দলীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। উচ্চ আদালত বিভিন্ন সময়ে জামিন দিলেও বিচারিক আদালত নানা অজুহাতে আটকে রাখছে। এসব বিষযে প্রতিকার চেয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি।