ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কয়েকঘণ্টা আগে ও পরে এই হত্যাকাণ্ড তত্ত্বাবধানকারী নিজের নিকটতম উপদেষ্টা সৌদ আল-কাহতানিকে ১১টি মেসেজ দেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
অতি গোপনীয় একটি গোয়েন্দা নথির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমটি। তবে মেসেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি এতে। মোহাম্মদ বিন সালমান সরাসরি খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ দেন একথাও বলা হয়নি।
এই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে খাশোগিকে হত্যাকারী ১৫ সদস্যের দলটির প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল আল কাহতানির। তবে সৌদি যুবরাজের অনুমতি ছাড়া এই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করা কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না।
আরও বলা হয়, ২০১৭ সালের আগস্টে যুবরাজ মোহাম্মদ তার সহযোগীদেরকে বলেন যদি খাশোগিকে সৌদি আরবে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তবে আমরা তাকে দেশের বাইরে কোথাও টোপ দিতে পারি। খাশোগির সঙ্গে শেষপর্যন্ত যা হয়েছে, এটা মনে হয় তারই ইঙ্গিত ছিল।
তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি যে বাইরের কোনও দেশে খাশোগিকে টোপ দেয়ার মন্তব্যটি সৌদি যুবরাজের নাকি যিনি গণমাধ্যমটিকে একথা বলেছেন তার।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার(সিআইএ) একজন মুখপাত্র। এদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউজের একজন কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে মন্তব্য করবে না প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে বিয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য প্রবেশ করে নিখোঁজ হন খাশোগি। এরপর তুরস্ক দাবি করে তাকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি আরব প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে এখনও খাশোগির মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি।