ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-০ ম্যাচে টেস্ট সিরিজ জয়। ২০০৯ সালেও উইন্ডিজদের বিপক্ষে ২-০ তে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর ন’বছর কেটে গেলেও এমন সিরিজ জয় ধরা দেয়নি টাইগারদের থাবায়।
এইতো পাঁচ মাস আগে উইন্ডিজদের বিপক্ষে তাদেরই মাঠে ২-০ তে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয় গতি দানবদের সামনে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল টাগাররা।
সেই হারের ক্ষত নিয়ে দেশের মাটিতে এবার প্রতিশোধই নিয়ে নিল বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়রা নিজেদের মাটিতে দেখিয়েছিল গতির ঝলক। বিপরীতে টাইগাররা নিজেদের মাটিতে দেখিয়েছে স্পিন জাদু!
দুই টেস্ট মিলে পেসারদের নেই কোনও উইকেট। মোস্তাফিজকে খেলানো হয়েছিল চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্ট। করানো হয়েছিল মাত্র ৪ ওভার, তাতে ছিলেন উইকেট শূন্য। স্পিনাররাই নিয়েছিল ২০ উইকেট!
ঢাকায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে দলেই নেয়া হয়নি কোনও পেসার। খেলানো হয়েছিল চার স্পিনার। তাতে আড়াই দিনে শেষ ঢাকা টেস্ট।
অথচ বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলে নেই কোনও পেসার! ব্যপারটা অবাক হবার মতো হলেও মোটেও অবাক হননি ওয়ালশ। তার কাছে জয়টাই মুখ্য।
‘আমাদের লক্ষ্য টেস্ট জয়, সেটা যেভাবেই হোক জয় আগে। যে ধরনের উইকেটে আমরা খেলছি, তাতে ম্যাচ জয়ের মতো একাদশই বেছে নিতে হবে। আমি এতে অখুশি নই। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চার পেসার রাজত্ব করত, এখন বাংলাদেশ চার স্পিনার নিয়ে নিজেদের শক্তি দেখাচ্ছে। এটাই তো হবার কথা।’
দেশের মাটিতে না হয় স্পিন দিয়ে রাজত্ব করা হচ্ছে কিন্তু দেশের বাইরে? সামনেই তো নিউজিল্যান্ড সফর। সেখানে পেসারদের প্রমাণের সুযোগ মানছেন ক্যারিবীয় এই গ্রেট।
‘আমি মনে করি এই টেস্ট সিরিজ শিখিয়েছে, যখনই সুযোগ আসবে তখনই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। আশা করি আমরা যখন নিউজিল্যান্ড সফরে যাব, সেখানে আমরা ভিন্ন উইকেট পাব এবং পেসাররা সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে।’