শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ বিষয়ক এক গোল টেবিল বৈঠকে আলোচকরা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লেখক গবেষক ও কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের পক্ষে প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবায়ন করেছিলেন। তাই আপামর জনসাধারণ মিলে-মিশে সম্প্রীতি সৌহার্দে বসবাস করতে পারছি। জাতিগত কোন বিভেদ না থাকায় হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একই সমাজে এমনকি একই বাড়িতে বসবাস করছি।
তারা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোন ধর্মান্ধ গোষ্ঠী ক্ষমতায় এলে এই সম্প্রীতি-সহমর্মিতা বজায় থাকবে না। তাই নির্বাচনে যাতে ওই ধরনের কোন শক্তি ক্ষমতায় না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রবন্ধে বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘু- এটা কারো পরিচয় হতে পারে না। যার যার ধর্ম আলাদা হতে পারে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা সবাই বাঙালি। এটা আমাদের জাতিগত পরিচয়। ধর্মীয় পরিচয়ে যদি কোনো জনগোষ্ঠীর ওপর আঘাত আসে তাহলে সবাইকে একযোগে রুখে দাঁড়াতে হবে।
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষের কণ্ঠে এক ও অভিন্ন স্লোগান উচ্চারণের আহবান জানিয়ে প্রবন্ধে বলা হয়, ‘আমার ভোট আমি দেব, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেব’, আমার ভোট আমি দেব, স্বাধীনতার পক্ষে দেব।’
বৈঠকে সম্প্রীতি বাংলাদেশের সভাপতি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করেন। এতে দৈনিক কালেরকণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক আলী হাবিব সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল, কবি আসাদ মান্নান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ভিসি মো. আনোয়ার হোসেন, বিশপ পল এস সরকার, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সনন্দপ্রিয়, রামকৃঞ্চ মিশনের মৃদুল মহারাজ জন্মাষ্টমী পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ দে, মুক্তিযোদ্ধা শেখ মেরাজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ভূ-রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে জে একে মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।