একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণার শেষ দিকে এসে ৩০০ আসনে নৌকার প্রার্থীদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন: বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের রক্ষায় নির্বাচনের শেষ সময়টাতে আপনারা নিরাপদে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নিজস্ব বাসভবন ‘সুধাসদন’ থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন।
এসময় তিনি বলেন: বিএনপি শুধু মানুষের ক্ষতি করতে পারে, তাদের হাতে বহু মানুষ নির্যাতিত; আগুনে দগ্ধ। অনেকেই জীবন হারিয়েছে, তাদের পরিবারগুলো কষ্টে আছে। আর এখন যারা বেঁচে আছে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।শেখ হাসিনা বলেন: এসব অগ্নিসন্ত্রাসীরা মানুষের জানমাল লুটপাটকারী, অর্থপাচারকারী, অর্থ-আত্মসাৎকারী। এরা বাংলাদেশের মানুষকে কিছু দিতে পারবে না। এরা শুধু নিতেই জানে এবং জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস এবং মাদক দূর করে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে চাই।
আওয়ামী লীগ আগামীতে ক্ষমতায় আসলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আভিযান চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে অভিযান শুরু হয়েছে সেটাও আগামীতে অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ আমরা গড়তে চাই, আর সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্ষমতায় আসতে পারলে আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার পালনের মধ্যদিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
শেষ মুহূর্তে প্রচারণা চালানোর তাগিদ দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন: আপনারা এলাকায় চলে যান, এখান থেকে এলাকায় গিয়ে শেষ মিছিলটা করবেন। কারণ, প্রচার প্রচারণার জন্য আর খুব বেশি সময় পাওয়া যাবে না। তবে আপনাদের বলবো আপনারা নিজেদের নিরাপদ রাখবেন, সাবধানে থাকবেন। পহেলা ডিসেম্বর থেকে আজ ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা সারা দেশে আমাদের ৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে আর ৪৪১ জন তাদের হাতে আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের ১৭০টা নির্বাচনী অফিস এবং বাড়িঘর তারা ভাঙচুর করেছে।
বাংলাদেশের মানুষ এখন আর সন্ত্রাস চায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন: বিএনপি-জামায়াত জোটের এই চরিত্রটা বদলাতে হবে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষ পছন্দ করে না। এক্ষেত্রে শুধু কমিল্লা নয় সারা বাংলাদেশের সব মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যদি কেউ করতে আসে সাথে সাথে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। সবাই এক হয়ে থাকবেন, তারা যেন এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে।