মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মিয়ানমারে জাতিসংঘ দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা। তিনি জাতিসংঘের আবাসিক ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী কুট ওসবি। এ মাসের শুরু থেকে ওই রাজ্যে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির লড়াই চলছে। তাতে কমপক্ষে সাড়ে চার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নেত্রী অং সান সুচি। তার প্রশাসন সেনাবাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে বিদ্রোহীদের গুঁড়িয়ে দিতে। এর প্রেক্ষিতে কুট ওসবি সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সব বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে।জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কুট ওসবি সব পক্ষের ্রতি আরো আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান বের করতে। সহিংসতায় আক্রান্ত সব মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আরাকান আমি একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। তারা বৌদ্ধপ্রধান রাখাইন রাজ্যে অধিকতর শায়ত্ত্বশাসন চায়। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর শুরু হয় নৃশংস নির্যাতন। এর ফলে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাথ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর পর নতুন করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সোমবার বৈঠক হয়েছে সরকার ও সেনাবাহিনীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের অফিস থেকে ‘সন্ত্রাসীদের গুঁড়িয়ে দিতে’ সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সরকারের এক মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন।