সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে আত্বীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে হবিগঞ্জের চুনারু থানার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বাক প্রতিবন্ধী এক সাঁওতাল তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলেও গত চারদিনেও পুলিশ ধর্ষক খাইরুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় উপজেলার সীমান্তবর্তী মথুরকান্দি বাজারে বাক প্রতিবন্ধী এক সাঁওতাল তরুণী আসে। বাজারের কাজ শেষে ফেরার পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে কাপনা গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে খাইরুল ইসলাম পাশের আব্দুল মালেকের বাঁশঝারের নিচে ধরে নিয়ে জোর পুর্বক এই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তরুণীর গোঙ্গানী’র শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে ধর্ষক খাইরুল ঘটনাস্থলে মুমুর্ষ অবস্থায় তরুণীকে ফেলে রেখে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার কৃষ্ণ হাজং ধর্ষিতা তরুণীকে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। পরে বাক প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষকের নাম ঠিকানা নিশ্চিত করলে রাতেই ধর্ষক খাইরুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ভিকটিমকে পরেরদিন শুক্রবার সকালে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাঁওতাল ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিক আলামতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।এখন তার অন্যান্য ডাক্তারি পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী অফিসার পবিত্র কুমার সিংহ জানান, অভিযুক্ত ধর্ষককে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ চেষ্টা করছে তাকে গ্রেফতার করতে।