মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের ওয়েট কিয়েন গ্রামের কাছে একটি বর্ডার গার্ড পোস্টে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দেশটির ছয় পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে মুসলিম বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভ্যাশন আর্মি (এআরএসএ)।
গত বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘মিয়ানমার টিভি’ নেটওয়ার্কের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কিছু গণমাধ্যমের খবরে এদিন এই এলাকায় সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান আর্মি হামলা চালায় বলে জানানো হলেও মংডু বর্ডার গার্ড পুলিশের এক কর্মকর্তা এর জন্য এআরএসএ’কেই দায়ী করেছেন।
পুলিশ লেফটেন্যান্ট কর্নেল টিন হ্যান লিন বার্তা সংস্থাটিকে জানান, এটি আমাদের প্রাথমিক ধারণা। এই বিষয়ে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত না।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াই শুরু হওয়ার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতার ঘটনা বেড়েই চলেছে রাখাইনে। জাতিসংঘের মতে, এসব সহিংসতার ঘটনায় প্রায় পাঁচ হাজার বেসামরিক নাগরিক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
রাখাইনের বৌদ্ধদের নিয়ন্ত্রিত আরাকান আর্মি গত এক দশক ধরে রাজ্যটির স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে। অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবিতে আন্দোলনরত এআরএসএ ২০১৬ সালে বেশকিছু বর্ডার পোস্টে হামলার চালানোর পর আলোচনায় আসে।
এরপর ২০১৭ সালে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রায় সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা সরকারগুলো এটাকে জাতিগত নির্মূলকরণ বলে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে মিয়ানমার সরকার শুরু থেকেই বলে আসছে তারা বিদ্রোহীদের দমনে এই অভিযান চালিয়েছে।