পুলওয়ামায় হামলার পর পাকিস্তানের পক্ষে সায় দিয়েছিল চীন। কিন্তু পাক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের প্রত্যাঘাতের পর আর সেই পথে হাটল না তারা। উল্টে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং। এদিকে এমন উত্তেজনার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের সর্বোচ্চ সংযত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র মাজা কোচিজানসিক বলেন, আমরা দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমরা বিশ্বাস করি দুই দেশের সর্বোচ্চ সংযত দরকার রয়েছে পরবর্তী উত্তেজনা এড়াতে।
মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমাবর্ষণের খবর সামনে আসতেই বেজিইংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং। বৈঠকে তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারত এবং পাকিস্তান।গোটা উপমহাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে তাদের মধ্যে মজবুত সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। আশাকরি দু’পক্ষই সংযত হবে। আগ্রাসনের বদলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের তরফে এই হামলাকে প্রতিরোধের লক্ষ্যে অসামরিক অভিযান হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তা নিয়ে প্রশ্ন করলে লু ক্যাং বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল গোটা পৃথিবী। তাতে সকলের সহযোগিতা কাম্য। সোমবার রাতেই পাক সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে।তাঁর দাবি, সোমবার চীনের স্টেট কাউন্সিলর তথা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে আলোচনা হয় পাক পররাষ্ট্র শাহ মাহমুদ কুরেশির। একই পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নিতে বলা হয়, যাতে সন্ত্রাস দমনে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে গোটা উপমহাদেশে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা যায়।