চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডকে নিছক রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড দাবি করে এর প্রতিবাদে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক ও সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানান। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জেলা শহর মাইজদী টাউন হল মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য মুক্তিযোদ্ধা তারকেশ্বর দেবনাথের সভাপতিত্বে মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চারণ সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সংগঠক ফখরুল ইসলাম, মার্কসবাদী জেলা সদস্য বিটুল তালুকদার, ছাত্রফ্রন্ট জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী জহির উদ্দিনসহ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, নিমতলীর ঘটনাসহ অতীতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত না করা এবং তদন্তকারীদের দেয়া সুপারিশ বাস্তবায়ন না করায় বার বার দেশে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য রাষ্ট্রের সরকারই দায়ী। সরকারের উদাসীনতার কারণে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। চকবাজারের ঘটনাও সরকারের উদাসীনতা তথা আয়োজিত হত্যাকাণ্ড।এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করে হতাহতদের সর্বাত্মক সহযোগিতার দাবি জানান তারা।
প্রসঙ্গত, চকবাজার ট্র্যাজেডিতে এ পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া নোয়াখালীর এক নারীসহ ১৭ জনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এখনো ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছে। নিহতরা হলেন- সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের খাসের বাড়ির সাহেব আলীর দুই ছেলে মাসুদ রানা (৩৬) ও মাহাবুবুর রহমান রাজু (২৮), পশ্চিম নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজী বাড়ির মৃত ভুলু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী হোসেন (৬৫), নাটেশ্বর গ্রামের সৈয়দ আহমদের ছেলে হেলাল উদ্দিন, মির্জানগর গ্রামের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (৩৮), মমিন উল্যার ছেলে সাহাদাত হোসেন হীরা (৩২), মৃত গাউছ আলমের ছেলে নাছির উদ্দিন (৩২), সোলেমানের ছেলে জাফর হোসেন, মধ্য নাটেশ্বর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে ছিদ্দিক উল্যাহ, বজরা ইউনিয়নের আয়েশা আক্তার নয়ন, অম্বরনগর ইউনিয়নের আবদুর রহিম দুলাল ও পার্শ্ববর্তী বারোগা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার, বেগমগঞ্জের মুজাহিদপুর গ্রামের কামাল হোসেন, বেগমগঞ্জের অভিরামপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন বাবু ও কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহির জসিম উদ্দিন।