ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানরা ডাবল সেঞ্চুরি করেন, কেউ ম্যাচ খেলায় ডাবল সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু হ্যামিল্টন টেস্টে এক অন্যরকম ডাবল সেঞ্চুরির মালিক হলেন বাংলাদেশের স্পিন সেনসেশন মেহেদী হাসান মিরাজ। এক ইনিংসে ২শতাধিক রান দিয়ে এ রেকর্ড গড়েন তিনি।
তার আগে বাংলাদেশের হয়ে এমন রান দেয়ার ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হয়েছিল তাইজুল ইসলামের। এদিন মিরাজ তাকেও ছেড়ে যান। মিরাজ প্রথম ইনিংসে ৪৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৪৬ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন দুই উইকেট। অর্থাৎ ওভারপ্রতি ৫.০২ ইকোনমি রেটে রান দিয়েছেন।
টেস্টের ইতিহাসে ১ হাজার ৩৭১ বার ৪৫ বা এর বেশি ওভার বোলিং করার ঘটনা আছে বোলারদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বাজে ইকোনমি রেট মিরাজের! কোনও টেস্টের এক ইনিংসে বাংলাদেশের বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার রেকর্ড এটি। তাইজুল-মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের কেউ রান দেয়ার ডাবল সেঞ্চুরি গড়েননি।
তবে বিশ্ব ক্রিকেটে এমন ডাবলের তালিকায় মিরাজ ষষ্ঠ। সবার উপরে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন চায়নাম্যান বোলার চাক ফ্লিটউড-স্মিথ। ১৯৩৮ সালে ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৭ ওভারে ২৯৮ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন এ চায়নাম্যান বোলার। এ ম্যাচটিতে ইংল্যান্ড ইনিংস ও ৫৭৯ রানে জয়লাভ করে।
এ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন ভারতে রাজেশ চৌহান। তিনি ১৯৯৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে ৭৮ ওভার বল করে ২৭৬ রান দিয়ে উইকেট নেন মাত্র একটি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উইন্ডিজের টমি স্কট। টমি ১৯৩০ সালে কিংসটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৮০.২ ওভার বল করে ২৬৬ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট হস্তগত করেন। যদিও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র হয়।
চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানের খান মোহাম্মদ। খান ১৯৫৮ সালে কিংসটনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচে ৫৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫৯ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য। একই ম্যাচে ফজল মাহমুদ ৮৫.২ ওভার বল করে ২৪৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে রয়েছেন তালিকার পঞ্চম স্থানে। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচটি ইনিংস ও ১৭৪ রানে জিতে নেয়।
এখন দেখার বিষয় মিরাজের এমন ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ভাগ্যে কি লেখা আছে।