পাকিস্তানের ভিতরে ভারতের বিমান হামলায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী কংগ্রেস দলের এমপি অজয় সিং সহ বিরোধী দলের নেতারা। এক্ষেত্রে তিনি বিদেশী মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট উদ্ধৃত করেন। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে- ভারতের বিমান হামলায় পাকিস্তানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করছেন, ভারতের বিমান হামলায় বালাকোটে জৈশ ই মোহাম্মদের ক্যাম্প ধ্বংস হয়ে গেছে। অজয় সিং আরো বলেন, আজ না হোক। ১০ দিন পরে পুরো ঘটনা খোলাসা হয়ে যাবে। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের ভিতরে ওই বিমান হামলার তথ্যপ্রমাণও প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।অজয় সিং শনিবার বলেছেন, কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে বোমা ফেলা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এতে বালাকোটোর সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস রিপোর্ট করেছে, ওই বিমান হামলায় কোনোই ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। কংগ্রেসের এই নেতা শনিবার মধ্যপ্রদেশের সাতনায় এক জনসমাবেশে এ বক্তব্য রাখেন। এতে কংগ্রেসের আরো কিছু নেতা ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাকিস্তানের ভিতরে বিমান হামলা নিয়ে সরকারের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
রোববার কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা দিগ্বিজয় সিং বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আস্তানায় বিমান হামলার তথ্যপ্রমাণ প্রকাশ করা উচিত ভারতের, যেমনটা আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দিগ্বিজয় সিং মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমি ওই অপারেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু এখন প্রযুক্তির যুগ। স্যাটেলাইটেই এসব ঘটনার ছবি ধারণ করা সম্ভব। একই পদ্ধতি ব্যবহার করে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার প্রমাণ বিশ্ববাসীর কাছে হাজির করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওদিকে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানিশ তিওয়ারি বিজেপি নেতা অমিত শাহের সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, ভারতের ওই বিমান হামলাকে অমিত শাহ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে ব্যবহার করছেন। কারণ, বিজেপির প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ দাবি করেছেন, ওই অপারেশনে কমপক্ষে ২৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন।
অন্যদিকে কপিল সিবালও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে প্রশ্ন ছুড়ে মেরেছেন। তিনি বলেছেন, বিদেশী মিডিয়া বলছে বালাকোটে কোনো সন্ত্রাসী নিহত হওয়ার কোনোই প্রমাণ নেই। তাহলে মোদি কি সন্ত্রাসকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করার জন্য দোষী হবেন না।