শেরপুরে আদালতে প্রক্সি হাজিরা দিয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে চাচী ও ভাতিজাকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় প্রক্সি হাজিরা দেয়ায় সালেহা বেগম (৫০) কে এবং সহযোগিতা করায় শাজাহান আলী (৪০) কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপমা রায়। এ ঘটনার পরপরই আদালত অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়।
জানা যায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নকলা উপজেলার ধনাকুশা গ্রামের মৃত খন্দকার নওজেশ আলীর পুত্র আবুল হাসেম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আবেদ আলীর পুত্র শাজাহান আলীসহ ৮জনকে বিবাদী করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭/১১৭ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত সকল বিবাদীকে ৭ মার্চ হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। এ আদেশের নোটিশ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সকল বিবাদীর পক্ষে কারণ দর্শানোর জবাব দাখিল করে অব্যাহতির আবেদন জানানো হলে বাদীপক্ষ ৭নং বিবাদী মৃত জামাল মিয়ার কন্যা মোছাঃ জামেলা খাতুন (৩০) এর পরিবর্তে তার সৎ মা সালেহা বেগম ভূয়া হাজিরা দিয়েছেন মর্মে আদালতকে অবহিত করলে জিজ্ঞাসাবাদে তার সত্যতা প্রমাণিত হয়।
এরপর আদালত মেয়ের পক্ষে ভূয়া হাজিরা দেয়ায় সালেহা বেগমসহ মূল বিবাদী শাজাহান আলীকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেইসাথে আদালত অন্যান্য বিবাদীদের অব্যাহতি দিয়ে পরবর্তী তারিখ ১৪ মার্চ নির্ধারণ করে অনুপস্থিত বিবাদী জামেলা খাতুনের প্রতি প্রসিডিংয়ের আদেশ দেন।
এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট ইয়াসমিন আক্তার জানান, মেয়ের পরিবর্তে মা ভূয়া হাজিরা দেয়ায় এবং ওই কাজে সহায়তা করায় আদালত ২ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়ায় এখন সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই সতর্ক হবেন। তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট আমিনুল ইসলাম দাবি করেন, নোটিশ মোতাবেক সকল বিবাদীই স্ব-স্ব পরিচয়ে হাজির হওয়ায় তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেকই তাদেরকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।তাদের মধ্যে কেউ ভূয়া ছিল কি না সে বিষয়টি আমার বা সহকারীর দৃষ্টিতে আসেনি।