ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা ও উপকূলীয় জনগণের নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ‘অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ’ সংক্রান্ত এক সভায় তিনি একথা জানান।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘উপকূলীয় সব জেলায় সভা হচ্ছে। উপজেলাগুলোতেও সভা হচ্ছে এবং সবগুলো উপজেলায় কী করতে হবে সেটা নিয়ে সরকার ভালোভাবে জানিয়ে দিচ্ছে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।’
উপকূলীয় এলাকার মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে পরিচিত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর আগেও তাদের এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে তারাও সচেতন।
উপকূলীয় সব উপজেলায় দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ শক্তিশালী আকার ধারণ করায় যেকোনো ভাবেই হোক বাংলাদেশে আসবেই। মূলত খুলনা অঞ্চল দিয়েই এই ঝড় আসবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দিন আহমদ। তাই খুলনা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থেকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জানানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মূল আঘাত হানতে পারে ‘ফণী’।