1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
কোপা আমেরিকার জন্য আর্জেন্টিনা ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেলের জয়লাভ গোবিন্দগঞ্জে অটোচালক দুলা হত্যার মূল আসামি আটক চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পলাশবাড়ীতে উপজেলা নির্বাচনে অনলাইন মনোনয়নপত্র দাখিলের বিষয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিলেই বিএনপি বলে বিরোধীদল দমন’ এবার বুবলী-শাকিবের ‘কোয়ালিটি টাইম’ নিয়ে মুখ খুললেন অপু বাংলাদেশের সফলতা চোখে পড়ার মতো: সিপিডির রেহমান সোবহান

কোপা আমেরিকার জন্য আর্জেন্টিনা ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯
  • ৩৯১ Time View

কোপা আমেরিকার জন্য ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত আর্জেন্টিনা দল ঘোষণা করেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। এ দল নিয়ে মাঠের লড়াইয়ে লিওনেল মেসি জিততে পারবেন তো?

দেখতে দেখতে দেড় দশক কেটে গেল। ডিয়েগো ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে যে মেসির আগমন ঘটেছিল বিশ্বমঞ্চে, সে মেসি এখনো আর্জেন্টিনার হয়ে আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা জিততে পারেননি। মেসিকে নিয়ে চারটি বিশ্বকাপ, চারটি কোপা আমেরিকার আসরে অংশগ্রহণ করে খালি হাতেই ফিরেছে আর্জেন্টিনা। তিনবার কোপা ও একবার বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেও দূর থেকে তাদের শিরোপা হাতে প্রতিপক্ষের উল্লাস দেখতে হয়েছে। একের পর এক স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় জর্জরিত হয়েছেন মেসি। বয়স হয়ে গিয়েছে ৩১। পরের কোপা আসতে আসতে জীবনের ৩৫ বসন্ত কেটে যাবে। খুব সম্ভবত এবারের আসরটাই হতে যাচ্ছে মেসির সর্বশেষ কোপা, এ কথা বলা যেতেই পারে। ক্যারিয়ারের শেষদিকে দেশকে একটা আন্তর্জাতিক শিরোপা কি এনে দিতে পারবেন মেসি?

সেই ২৬ বছর আগে ইকুয়েডরের মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে মেক্সিকোকে হারিয়ে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার আর্জেন্টিনা। সেটাই এখনো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ শিরোপা । ২৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে এই জুনে ব্রাজিলে পাড়ি জমাচ্ছে আর্জেন্টিনা দল। এবারের কোপা আমেরিকা যে নেইমারের দেশেই বসছে! নেইমারের দেশ থেকে কোপা আনার প্রত্যয় নিয়ে যে ২৩ জন ব্রাজিল যাবেন, তাঁদের নাম ঘোষণা করেছেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কেমন হলো দলটা? কোপা জেতার জন্য এই দলটা কি যথেষ্ট শক্তিশালী?

গোল রক্ষণ ,চূড়ান্ত দলে ডাক পেয়েছেন : ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট), এস্তাবান আনদ্রাদা (বোকা জুনিয়র্স), অগাস্তিন মার্চেসিন (ক্লাব আমেরিকা)

গত নয় বছর ধরে আর্জেন্টিনার গোলবারের নিচে চলতে থাকা সার্জিও রোমেরোর রাজত্ব যে শেষ হচ্ছে, সেটা গত বিশ্বকাপেই বোঝা গিয়েছিল। বিশ্বকাপের আগে অপ্রত্যাশিতভাবে চোটে পড়ে দল থেকে বাদ পড়ে যান রোমেরো। পরে চোট কাটিয়ে উঠলেও তৎকালীন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি তাঁকে দলে ডাকার প্রয়োজন মনে করেননি। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার মূল গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন পোড় খাওয়া গোলরক্ষক উইলি ক্যাবায়েরো ও বিশ্বকাপেই প্রথম দলে ডাক পাওয়া ফ্রাঙ্কো আরমানি। বিশ্বকাপের পর রোমেরোর পথ অনুসরণ করে দল থেকে বিদায় নিয়েছেন ক্যাবায়েরোও। রোমেরো-ক্যাবায়েরো যুগ শেষে আর্জেন্টিনা তাকাতে চাইছে নতুন ভবিষ্যতের দিকে। আর সে কারণেই এবার আর্জেন্টিনার মূল গোলরক্ষক হওয়ার জন্য লড়বেন আরমানি ও আনদ্রাদা। ২০১৮ সালটা যেমন অসাধারণ কাটিয়েছিলেন, কোপা লিবার্তোদোরেস জিতেছিলেন, ২০১৯ সালটাও তেমনভাবে কাটাতে পারলে হয়তো নিশ্চিতভাবে বলা যেত, আরমানিই হচ্ছেন কোপায় আর্জেন্টিনার মূল গোলরক্ষক।

২০১৯ সালে আরমানির ফর্ম একটু খারাপ হয়েছে। যে কারণে দলের মূল গোলরক্ষক হয়ে যেতে পারেন এখন পর্যন্ত বোকা জুনিয়র্সের হয়ে অসাধারণ মৌসুম কাটানো এস্তেবান আনদ্রাদা। বোকার জঘন্য রক্ষণভাগ এখনো পর্যন্ত তেমন বড় কোনো শাস্তি পায়নি কেননা পেছনে আনদ্রাদা খেলছেন অসাধারণ। এর মধ্যে মরক্কোর বিপক্ষে আনদ্রাদাকে খেলিয়ে কোচ স্কালোনি বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কোপা পরিকল্পনায় আনদ্রাদা আছেন ভালোভাবে। তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে শুধুমাত্র নেওয়ার জন্যই খেলোয়াড় নিতে হয়। মূল দুই গোলরক্ষককে টপকে তৃতীয় গোলরক্ষক কখনই কোনো ম্যাচ খেলতে পারেন না, আগের দুই গোলরক্ষকের কোনো বিশেষ সমস্যা না হলে। সাধারণত এ জায়গায় তরুণ কাউকে নেওয়া ভালো। কেননা, সে ম্যাচ খেলতে না পারলেও টুর্নামেন্টে সতীর্থদের সঙ্গে থেকে থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে — দলের সংস্কৃতি, বড় টুর্নামেন্টে খেলার মানসিকতা কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি। কিন্তু স্কালোনি এসবের ধার ধারেননি। উদিনেসে ও নিসের হয়ে এই মৌসুমে দুর্দান্ত খেলা দুই তরুণ হুয়ান মুসো ও ওয়াল্টার বেনিতেজকে দলে নেননি তিনি। এ জায়গায় ক্লাব আমেরিকার গোলরক্ষক অগাস্তিন মার্চেসিনকে নেওয়া হয়েছে। গত নয় বছর ধরে দলের দ্বিতীয় বা তৃতীয় গোলরক্ষক হয়েই ক্যারিয়ার পার করছেন তিনি। যেখানে মুসো বা বেনিতেজকে নিলে আর্জেন্টিনা হয়তো ভবিষ্যতে উপকৃত হতে পারত।

রক্ষণভাগ
চূড়ান্ত দলে ডাক পেয়েছেন : নিকোলাস ওটামেন্ডি (সেন্টারব্যাক, ম্যানচেস্টার সিটি), জার্মান পেজ্জেলা (সেন্টারব্যাক, ফিওরেন্টিনা), হুয়ান ফয়থ (সেন্টারব্যাক, টটেনহাম হটস্পার), রামিরো ফুনেস মোরি (সেন্টারব্যাক, ভিয়ারিয়াল), রেনজো সারাভিয়া (রাইটব্যাক, রেসিং ক্লাব), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (লেফটব্যাক, আয়াক্স), মিল্টন কাসকো (লেফটব্যাক, রিভার প্লেট)

রক্ষণভাগে স্কালোনি এমন কয়েকজনকে নিয়েছেন, যাদের নিয়ে তিনি দলকে যেকোনো ছকে খেলাতে পারবেন। মাঠে চারজনের রক্ষণভাগও যেমন নামাতে পারবেন (৪-৩-৩, ৪-২-৩-১, ৪-৪-২ ইত্যাদি ছকে), তিনজনেরও পারবেন (৩-৫-২, ৩-৪-৩ ইত্যাদি ছকে)। তবে ধরে নেওয়া যায়, বিশেষ কোনো খেলোয়াড়ের চোটের কারণে পরিকল্পনা বদল না করতে হলে, চারজনের রক্ষণভাগ নিয়েই নামবে আর্জেন্টিনা — যে রক্ষণভাগে থাকবেন দুজন সেন্টারব্যাক, একজন করে রাইটব্যাক ও লেফটব্যাক। স্কোয়াডে ডাক পাওয়া চারজন সেন্টারব্যাক ওটামেন্ডি, পেজ্জালা, ফুনেস মোরি ও ফয়থের মধ্যে ওটামেন্ডি ও পেজ্জালাই মূল একাদশে থাকবেন।

রাইটব্যাক হিসেবে সারাভিয়ার জায়গা পাকা। গত কয়েক মাসে রাইটব্যাক হিসেবে প্রীতি ম্যাচগুলোতে বেশ ভালো খেলে নজর কেড়েছেন রেসিংয়ের এই তারকা। ব্রাজিলের সঙ্গে সর্বশেষ প্রীতি ম্যাচে নেইমারকে আটকে রেখেছিলেন তিনিই। লেফটব্যাকে আয়াক্সের নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর জায়গা নেওয়ার মতো কেউ নেই দলে। আয়াক্সের হয়ে স্বপ্নের মতো একটা মৌসুম কাটানো তাগলিয়াফিকো চাইবেন জাতীয় দলের হয়ে কোপাটাও জিততে। বিশেষ ঝামেলা না হলে মূল একাদশে সেন্টারব্যাক হিসেবে ভিয়ারিয়ালের রামিরো ফুনেস মোরির আসার সম্ভাবনা নেই। দলের বাকি দুই ডিফেন্ডার মিল্টন কাসকো আর হুয়ান ফয়থ। মূল একাদশে জায়গা না পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকলেও স্কোয়াডে এই দুজনের গুরুত্ব বেশ।

মূলত সেন্টারব্যাক হলেও রাইটব্যাক হিসেবে বেশ খেলতে পারেন ফয়থ, পাসিং ক্ষমতা দুর্দান্ত। ফলে সারাভিয়ার বিকল্প হিসেবে চাইলে ফয়থকেও যেমন খেলাতে পারেন স্কালোনি, একইভাবে, দুজন সেন্টারব্যাকের জায়গায় কোনো দিন তিনজন সেন্টারব্যাক খেলাতে চাইলেও ফয়থ কাজে আসবেন। গত মৌসুমে কোপা লিবার্তোদোরেস জেতা কাসকো রিভার প্লেটের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। মূলত লেফটব্যাক হলেও দুই পায়েই সমানভাবে খেলতে পারেন কাসকো, রাইটব্যাক হিসেবেও খেলতে পারেন। তাঁর এই ক্ষমতার ওপর ভরসা রেখেই দলে আর অতিরিক্ত কোনো রাইটব্যাক নেননি স্কালোনি, সারাভিয়ার বিকল্প হিসেবে। রিভারপ্লেটের হয়ে নতুন করে ফর্মে ফেরা কাসকো এসব কারণেই ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন দলে। শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন গ্রেমিওর সেন্টারব্যাক ওয়াল্টার কানেম্যান। কানেম্যান সুস্থ থাকলে হয়তো ফুনেস মোরি দলে জায়গা পেতেন না। বহুদিন ধরে আর্জেন্টিনা দলে তেমন ভালো না খেলা গ্যাব্রিয়েল মের্কাদোরও জায়গা হয়নি দলে।

মাঝমাঠ
চূড়ান্ত দলে ডাক পেয়েছেন : জিওভান্নি লো সেলসো (রিয়াল বেতিস), লিয়ান্দ্রো পারেদেস (পিএসজি), এজেকিয়েল প্যালাসিওস (রিভার প্লেট), গিদো রদ্রিগেজ (ক্লাব আমেরিকা)

মাঝমাঠে আক্ষরিক অর্থেই নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। হাভিয়ের মাচেরানো নেই। নেই এভার বানেগা, লুকাস বিলিয়া, এনজো পেরেজের মতো তারকারা। গত বিশ্বকাপে এদের জন্য দলে ডাক পাননি জিওভান্নি লো সেলসো ও লিয়ান্দ্রো পারেদেসের মতো প্রতিভাবান মিডফিল্ডাররা। এবার দল থেকে বুড়োদের বাদ দিয়ে তরুণদের ওপর আস্থা রাখছেন স্কালোনি। স্কালোনির মিডফিল্ডের প্রধান মিডফিল্ডার হতে যাচ্ছেন লো সেলসো। লো সেলসোর সঙ্গে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে থাকতে পারেন পারেদেস। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও পরে আস্তে আস্তে পেছনে চলে আসেন, এখন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবেই খেলছেন পিএসজিতে তিনি। পাসিং ক্ষমতা অসাধারণ। কিন্তু আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এর আগে যত ম্যাচ খেলেছেন, সন্তুষ্ট করতে পারেননি পারেদেস। সে হিসেবে মূল একাদশে পারেদেস থাকবেন কী না, সেলসোর মতো অতটা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

তবে পারেদেস ও লো সেলসো দুজনেরই ওপরে উঠে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। সে ক্ষেত্রে এই দুজনকে একসঙ্গে খেলাতে হলে রক্ষণভাগকে সাহায্য করার জন্য মূল একাদশে আরেকজন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের প্রয়োজন। এই কাজটা করার জন্য দলের সবচেয়ে যোগ্য লোক, ক্লাব আমেরিকায় খেলা গিদো রদ্রিগেজ। এই রদ্রিগেজ ছাড়া আর অন্য কোনো রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার দেওয়া হয়নি স্কোয়াডে। দলে মিডফিল্ডার হিসেবে আরও আছেন রিভারপ্লেটের এজেকিয়েল প্যালাসিওস। মিডফিল্ডের যেকোনো জায়গাতেই খেলতে স্বচ্ছন্দ তিনি। প্যালাসিওসকে মাথায় রেখে যেকোনো ছকে দলকে খেলাতে পারবেন স্কালোনি।

আক্রমণভাগ
চূড়ান্ত দলে ডাক পেয়েছেন : লিওনেল মেসি (উইঙ্গার, বার্সেলোনা), পাওলো দিবালা (উইঙ্গার, জুভেন্টাস), মাতিয়াস সুয়ারেজ (উইঙ্গার, রিভার প্লেট), সার্জিও আগুয়েরো (স্ট্রাইকার, ম্যানচেস্টার সিটি), লওতারো মার্টিনেজ (স্ট্রাইকার, ইন্টার মিলান), রবার্তো পেরেইরা (ওয়াটফোর্ড), অ্যানহেল ডি মারিয়া (পিএসজি), রদ্রিগো দে পল (উদিনেসে), মার্কাস আকুনিয়া (স্পোর্টিং লিসবন)

আর্জেন্টিনার এ দলে এমন কিছু খেলোয়াড় আছেন, যারা মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগ, যেকোনো জায়গাতেই খেলতে পারেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অ্যানহেল ডি মারিয়া, রদ্রিগো দে পল, মার্কাস আকুনিয়া, রবার্তো পেরেইরা প্রমুখ। এই চারজনকে স্কালোনি মাঝমাঠ থেকে আক্রমণভাগের উইংয়ে, যেকোনো জায়গায় খেলাতে পারবেন। অ্যানহেল ডি মারিয়া লেফট উইংয়ে খেলার পাশাপাশি আগে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঝমাঠেও খেলেছেন, রদ্রিগো দে পল উইঙ্গার হওয়ার পাশাপাশি বেশ ভালো আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার, রবার্তো পেরেইরা স্ট্রাইকার হলেও উইং সহ ৪-৩-৩ ফরমেশনের মাঝমাঠেও খেলতে পারেন। তবে এত দিন পরে এসে নিজের পছন্দের জায়গা উইংয়ে খেলার জন্য ডাক পেয়েছেন আকুনিয়া। স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলা এই তারকাকে আগের আর্জেন্টাইন কোচেরা লেফটব্যাক হিসেবে দলে নিতেন। উইঙ্গারকে রক্ষণভাগে খেলালে যা হয়, ভালোভাবে রক্ষণ করতে পারতেন না তিনি। এবার উইঙ্গার হিসেবেই দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।

দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলতে যাচ্ছেন সার্জিও আগুয়েরো। আগুয়েরোর বিকল্প হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজকে। মাঠের মধ্যে লওতারোর সঙ্গে সতীর্থদের বোঝাপড়া ভালো, যে কারণে ক্লাব সতীর্থ মাউরো ইকার্দির জায়গায় দলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। ইকার্দিকে বক্সের ভেতরে থেকে গোল করতে পটু হলেও বক্সের বাইরে খেলা বানিয়ে দেওয়ার কাজটা একদমই ভালো করতে পারেন না। ওদিকে লওতারো মূল স্ট্রাইকার হিসেবে গোল করা, সহকারী স্ট্রাইকার হিসেবে সতীর্থদের সঙ্গে রসায়ন ঠিক রাখা — সবকিছুই পারেন। আর সম্প্রতি ক্লাব জীবনে কোচের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে নিজের নামও খারাপ করেছেন ইকার্দি। সব মিলিয়েই দলে জায়গা হয়নি তাঁর।

দলের মূল তারকা যথারীতি লিওনেল মেসি, খেলবেন রাইট উইঙ্গার হিসেবে। দলের আশা ভরসার সবচেয়ে বড় কান্ডারি যথারীতি তিনি। মেসি কোনো ম্যাচে না খেললে দলে তাঁর বিকল্প হিসেবে নেওয়া হয়েছে জুভেন্টাসের পাওলো দিবালাকে। এ মৌসুমে অত ভালো না খেললেও দলে এখনো মেসির আসন নেওয়ার ক্ষমতা শুধুমাত্র দিবালারই আছে। সে জন্যেই দলে ডাক পাওয়া। ক্যারিয়ারের বালুকাবেলায় রিভার প্লেটের হয়ে ফর্মের ঝলক দেখিয়ে ও শেষ এক-দুই প্রীতি ম্যাচে ভালো খেলে কোচকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছেন মাতিয়াস সুয়ারেজ। দলে জায়গা পেয়েছেন তিনিও।

এই ২৩ জনকে নিয়েই কোপা জয়ের মিশনে যাচ্ছে আর্জেন্টিনা। কোপা হাতে মেসির উল্লাস দেখা যাবে কি না, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৭ জুলাই পর্যন্ত।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com