অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যানবাহনের ধীরগতির জন্য বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
আজ মঙ্গলবার থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে টাঙ্গাইলের করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় মহাসড়কে থেমে থেমে খুবই ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে আজ সকালে বাস থেকে নেমে বিক্ষোভ করে। তবে বেলা একটার দিকে যানবাহন ধীরগতিতে হলেও চলতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেন হয়েছে। তবে টাঙ্গাইলের পর এলেঙ্গা থেকে সড়ক দুই লেন। গতকাল সোমবার বিকেল থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঈদের ছুটি কাটাতে যানবাহনে চাপেন। প্রচুর যানবাহন সড়কে নামে তখন। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল সড়কে থেমে থেমে গাড়ি চললেও বড় ধরনের যানজট ছিল না। চার লেনের সুবিধাতেই টানা গাড়ি চলে। কিন্তু এলেঙ্গার দুই লেনের সড়কে এসেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। আবার এর মধ্যে সেতুর পশ্চিম পাশে গাড়ি চলতে থাকে আরও ধীরগতিতে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে যানবাহন সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত যেতে পারছে না। মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার যানবাহন এ সড়কে চলেছে।