যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর জেলা পরিষদের বিকল্প রিং বাঁধের অন্তত ৬০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। এতে ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩ শতাধিক পরিবার। এসব পানিবন্দী লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। পানিতে কাজিপুর-ধুনট সড়কের আধা কিলোমিটার এলাকা ডুবে গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাঁধে ধস শুরু হয়। ধীরে ধীরে ধসের পরিধি বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রবল বেগে লোকালয়ে পানি ঢুকতে থাকে।
কাজিপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার জানান, যমুনার ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় উপজেলার মেঘাই, নতুন মেঘাই, পাইকড়তলী, কুনকুনিয়া ও পলাশপুর গ্রামের দেড় হাজার পরিবারকে রক্ষায় নির্মিত রিং বাঁধটির মেঘাই আটাপাড়া অংশে মঙ্গলবার রাত ১০টার পর থেকে ধস দেখা দেয়। ধীরে ধীরে বিস্তৃত হয়ে বাঁধটির প্রায় ৬০ মিটার এলাকা ভেঙ্গে যায়। এতে প্রবল বেগে পানি ঢুকে পড়ে আশপাশের ৩টি গ্রাম মুহুর্তেই প্লাবিত হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ৩ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিবন্দী পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ, গৃহপালিত পশুসহ জানমাল উদ্ধারে রাতেই অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, রাতে হঠাৎ করেই ধস দেখা দেয়ায় বাঁধের পাশের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাতেই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা পানিবন্দীদের জানমাল নিরাপদে সরিয়ে আনতে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।
এদিকে, যমনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পাউবো অফিস জানিয়েছেন।