মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় স্ত্রী ও দশ মাসের শিশু পুত্রকে জবাই করে হত্যার পর নিজে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে বিট্টু মজুমদার নামে একজন। আজ সকালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত স্ত্রীর নাম পূর্ণ মজুমদার (২৫)। শিশু পুত্রের নাম মানব মজুমদার। খবর পেয়ে সকাল ১১টায় পারনান্দুয়ালীর মিস্ত্রীপাড়ার একটি টিনসেড ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই বাড়িতেই তারা ভাড়া থাকত।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কাদের গনি মোহন জানান, পেশায় বিট্টু একজন থাই মিস্ত্রী। বিয়ের পর স্বস্ত্রীক বিট্টু চুয়াডাঙ্গায় থাকতো।
তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ৩মাস আগে পারনান্দুয়ালী মিস্ত্রিপাড়ার হাজী আব্দুর রশিদের ভাড়া বাড়িতে ওঠে তারা। ওই বাড়ির পাশেই বিট্টুর পারিবারিক বসত। বিট্টু তার পরিবারে ফিরে যাবার জন্য চেষ্টা করছিল। কিন্তু মুসলিম ধর্মের মেয়ে বিয়ে করায় তার পরিবার সেটা মেনে নিতে পারেনি। কিছুদিন আগে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও কোন সমাধান হয়নি। এসব কারণে বিট্টু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল।
এ ব্যাপারে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, তিন বছর আগে প্রেম করে পূর্ণকে বিয়ে করে বিট্টু। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ে মেনে না নেয়ায় সে মাগুরা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাড়িতে থাকত। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আর বিট্টুকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।