বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শতাধিক পরিবহন শ্রমিক আন্দোলন করেছেন। তারা রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় পরিবহন ভবনের প্রধান গেইটে তালা দেন। তালা লাগানো অবস্থায় বিক্ষোভ করতে থাকেন। এই ভবনে চতুর্থ তলায় বসেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া। তাকে ভেতরে রেখেই তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রায় ১৭ মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত তারা। এছাড়াও একাধিকবার অভিযোগ করেও মেলেনি কোন সমাধান।
আন্দোলনকারী চেয়ারম্যানের গাড়ির চাকার হাওয়াও ছেড়ে দেন। দুপুর ২টার দিকে গাড়িটি ছেড়ে দিলেও তালা খুলে দেননি তারা।
বিআরটিসি সচিব নূর-ই-আলম দুপুরে পরিবহন ভবনের ভেতর থেকে সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দিলেও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিআরটিসির চালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি ডিপো আছে। এসব ডিপোতে সাড়ে চার হাজার চালক, হেলপার, টেকনিশিয়ান, অফিস সহকারী এবং নিরাপত্তারক্ষী কাজ করেন। সরকারি বেতন স্কেলে তারা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তাদের কারও ১৩ মাস, কারও ১৭ মাসের টাকা বকেয়া। তিনি আরো বলেন, বেতন চাইতে গেলে হয় চাকরিচ্যুত করা হয়। আর না হয় বদলি করা হয়।
বেতন ভাতার ছাড়াও আরো অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। বিআরটিসি গাবতলী ডিপোর কন্ডাকটর মো. বাদল শেখ অভিযোগ করেন, সরকারিভাবে প্রতিটি গাড়ির জমা নির্ধারণ করা আছে ছয় হাজার টাকা। কিন্তু গাবতলী ডিপোর ব্যবস্থাপক বেআইনিভাবে আট হাজার টাকা আদায় করছেন। প্রতিটি গাড়ি থেকে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করে পকেটে ভরছেন।