মিকি আর্থারের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন কোচ খুঁজছে পাকিস্তান। আর দলের সাবেক ক্রিকেটার ও এক সময়কার কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ, সরফরাজদের নতুন অভিভাবক হিসেবে স্থানীয় কাউকে দেখতে চান। কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আপনার নিজের দেশে যদি তেমন অভিজ্ঞ কেউ না থাকেন, তাহলে বিদেশি পেশাদার কোচ আনতে পারেন। কিন্তু নিজের দেশেই যেখানে যোগ্যতর লোক আছেন, সেখানে বাইরের কোচ আনা কী দরকার? আমাদের এমন একজনকে দরকার যিনি খেলোয়াড়দের হাতে-কলমে দেখাতে পারেন তাদের সমস্যা কোথায় হচ্ছে, তাদের দুর্বলতা কোথায়। আর সেগুলো সমাধানের উপায় কী। জাতীয় দলে প্রথাগত কোচ আনার চাইতে বরং ট্রেনার আনার পক্ষপাতী আমি।’
এরপরই তার সাবেক সতীর্থ কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামের কথা উল্লেখ করেন মিয়াঁদাদ। আকরামের কাছ থেকে বিশেষ কোনো সুবিধা নিতে পারছে না পাকিস্তানের বর্তমান প্রজন্ম। বরং অন্য দেশের ক্রিকেটাররা ওয়াসিমকে দিয়ে উপকৃত হচ্ছেন।
ওয়াসিম আকরাম ভারতীয় প্রিমিয়ার লীগ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করে তাদের শিরোপা জয়ে অবদান রাখেন। তাছাড়া উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামির মতো পেসাদেরও ‘মেন্টর’ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু গুঞ্জন রয়েছে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড কখনো ওয়াসিমকে কোচের দায়িত্ব নিতে বলেনি। অবশ্য পিসিবির ক্রিকেট কমিটিতে রাখা হয়েছে তাকে। কিন্তু ওই কমিটির সদস্য হিসেবে পরামর্শ ছাড়া আর কিছুই দিতে পারছেন না ওয়াসিম। এটা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও সাবেক কোচ জাভেদ মিয়াঁদাদ। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তারা ওয়াসিম আকরামের মতো কিংবদন্তিদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে। তারা হাতে-কলমে খেলোয়াড়দের শেখাতে পারেন, তাদের কোথায় ভুল হচ্ছে আর সে ভুলগুলো কীভাবে শোধরানো যায় সে উপায় বলে দেন। তাদের পরামর্শ নিয়ে সেসব দল অনেক ভালো করছে। তারা যদি আমাদের দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের এভাবে কাজে লাগাতে পারে, আমরা কেন পারছি না?’
১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন ওয়াসিম-মিয়াঁদাদ। ওয়াসিম পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে ৫০২ ও টেস্টে ৪১৪ উইকেটে নিয়েছেন। আর ‘বড়ে মিয়াঁ’ খ্যাত মিয়াঁদাদ টেস্টে ৮৮৩২ ও ওয়ানডেতে ৭৩৮১ রান করেন।