মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে নিজের সন্তানকে দেখা করতে না দেয়ায় স্বামীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে দীপালি দেব (৩৩) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাবার বাড়িতে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের ভাই বাদল দেব সাংবাদিকদের বলেন, দীপালিকে তার স্বামী তিন বছর ধরে বাবার বাড়িতে ফেলে রেখেছেন। তার এক ছেলে রয়েছে। সেই ছেলের সঙ্গেও দেখা করতে দেন না স্বামী। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার বোনকে মানসিকভাবে অত্যাচার করতেন তার স্বামী। আজ আমার বোনের সঙ্গে তার সন্তানের দেখা করার কথা ছিলো। কিন্তু তার স্বামী দেখা করতে দেননি। এরপর মনের কষ্টে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় সে।
যদিও স্বামী বিবেকানন্দ অর্জুন এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই গত দু’বছর ধরে তাকে আমার শ্বশুরবাড়িতে রেখেছি।
সন্তানকে আটকে রাখার কথাও সঠিক নয়।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাড়াউড়া জেটি রোডের বাবার বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেয়া পর দীপালিকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, শনিবার সকালে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রজু করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের কেউ থানায় অভিযোগ করেনি বলেও জানান তিনি।