ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর জমিরুলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সদর উপজেলার খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী মো. উবায়দুল্লাহকে মারধর করে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে।
ওই দপ্তরির পকেটে ইয়াবা রেখে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার করার ভয় দেখিয়ে আড়াই হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। সোমবার এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন নির্যাতনের শিকার দপ্তরি। এরপর রাতেই এসআই জামিরুলকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুত্র জানিয়েছে, পাশাপাশি জামিরুলের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের তদন্তও চলছে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল কবির এই অভিযোগের তদন্ত করছেন।
জানা যায়, এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে মোট ৬ জনের একটি পুলিশ দল গত ৩রা আগস্ট রাত ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীকে নির্যাতন করে।
এতে তার কানের পর্দা ফেটে যায়। পরে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নৈশ প্রহরীর বাবার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে চলে আসে পুলিশ দলটি।
এসআই জামিরুল সদর থানায় যোগদান করার পর থেকে আলোচিত হয়ে ওঠেন মাদকে ফাঁসিয়ে টাকা আদায় করার জন্যে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে অনেক।