নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক চলছে। বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রয়াত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের কারণে বৈঠকটি নির্ধরিত সময়ের আড়াই ঘন্টা পর (স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়) শুরু হয়েছে। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে বৈঠকটি চলছে। এটি দু’টি ধাপে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের প্রথম ধাপ হচ্ছে- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ভারতের স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ’র মধ্যে একান্ত আলোচনা। দ্বিতীয় ধাপে হবে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকে মন্ত্রীদ্বয় নিজ নিজ দেশের নেতৃত্ব দিবেন।
দিল্লির প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া আগেই জানিয়েছে- ঢাকা-দিল্লি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম ওই বৈঠকে সীমান্তে চোরাচালান, পাচার, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা, জাল মুদ্রা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেখানে আসামে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিদেশীদের বিষয়টি আলোচনায় স্থান পেতে পারে। আসামে চলমান এনআরসি থেকে কয়েক লাখ ভারতীয় নাগরিকের নাম বাদ পড়েছেন। অভিযোগ করা হচ্ছে নাম বাদ পড়া ওই ভারতীয় নাগরিকদের বড় অংশ না-কী বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। কথিত ওই ‘বাংলাদেশী’ বিতর্কের বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে এখনও দিল্লির আনুষ্ঠানিক কোন কথাবর্তা হয়নি। ওই বৈঠকে ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণে বাংলাদেশের কাছে ভারতের জমি চাওয়ার বিষয়টিও উঠতে পারে। এ নিয়ে দিল্লির সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব রয়েছে ঢাকার বিবেচনায়।
দুই মাস আগে অমিত শাহ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই হচ্ছে তার প্রথম বৈঠক। বৈঠকে অংশ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল নিয়ে মঙ্গলবার নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কে রেড্ডি এবং দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝিতে ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে দু’দেশ অপরাধমুক্ত সীমান্ত, পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ এবং জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় নিবিড় সহযোগিতা নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। সেই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।