জামিন পেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আট নেতা। পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন নিতে আজ আদালতে আত্মমসমর্পণ করেন তারা। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী আট নেতার জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত অন্যান্যরা হচ্ছেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু) ও নজরুল ইসলাম খান।
জামনি শুনানিকালে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জয়নুল আবেদীন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী দল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, রুহুল কবীর রিজভীর উপস্থিতিতে সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়াসহ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সমাবেশ থেকে ফেরার পথে হাতিরঝিল থানাধীন মগবাজার রেলগেইটে ৭০/৮০ জন রাষ্ট্রীয় নাশকতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম করার লক্ষ্যে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তার পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করে।
ওই ঘটনায় হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে ৫৫ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।।