চলতি প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। গত কয়েক বছরে ধারাবাহিকভাবে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। শিল্পী ও একইসঙ্গে সংগীত পরিচালক হিসেবে অল্প সময়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন ইমরান। অডিওর বাইরে চলচ্চিত্রের গানেও তৈরি করেছেন ভালো একটি অবস্থান। ঘুরে ফিরে অডিও ও চলচ্চিত্রে ইমরানের গানগুলোই সাম্প্রতিক সময়ে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। শুধু নিজে গেয়ে নয়, তার সুর ও সংগীতে গেয়ে অনেকেই পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। অডিও ও প্লেব্যাকের বাইরে স্টেজ শো নিয়েই বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয় ইমরানকে। সব মিলিয়ে চলতি সময়টা কেমন যাচ্ছে? ইমরান বলেন, বেশ ভালো।
ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সময়। তবে কাজ নিয়ে থাকতে ভালোই লাগে আমার। অল্প সময়ে গানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফলতা পেয়েছেন। বিষয়টি কিভাবে দেখেন? উত্তরে ইমরান বলেন, আমি প্রতিনিয়ত শিখছি। শেষ পর্যন্ত শিখে যেতে চাই। তবে এই সফলতা আমার একার নয়। আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্খী আর ভক্তদের ভালোবাসার কারণেই আমি এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। আমি সব সময় চেষ্টা করি সময়ের সঙ্গে চলতে। গানের ক্ষেত্রেও সেটা হয়। গান তৈরির বেলায় সময়টাকে মাথায় রাখি। শ্রোতারা কি চান সেটা মাথায় রাখি। সঙ্গে নিজের পছন্দতো রয়েছেই। আর এ কারণেই আমার মনে হয় গানগুলো প্রকাশের পর শ্রোতারা এতটা পছন্দ করছেন। তাদের অনুপ্রেরণাতেই পথ চলছি। অ্যালবাম থেকে ডিজিটালি গান প্রকাশ। দুটি সময়ই দেখা হয়েছে। পার্থক্য কেমন মনে হয়? ইমরান বলেন, সত্যি বলতে অ্যালবামের সময়টাকে অনেক মিস করি। কারণ ফিজিক্যালি সিডি হাতে পাওয়ার আনন্দটাই আলাদা। তাছাড়া মাঝেমধ্যে মনে হয় অডিওর সময়টা যদি আবার ফিরতো! আগে অডিওতেই কত না গান জনপ্রিয় হয়েছে। এখন ভিডিও যেন অবধারিত হয়ে গেছে। এটা ছাড়া গান শ্রোতা-দর্শকদের কাছে পৌঁছছে না। বিশ্বের সব জায়গায় এখন সিঙ্গেল প্রকাশ হচ্ছে। ভিডিও হচ্ছে। আমরাও এখন সেই পথে হাঁটছি। ডিজিটালি গান প্রকাশের ভালো ও মন্দ দুই দিকই আছে। তবে ভালোটাকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। এখনকার ব্যস্ততা কি নিয়ে? ইমরান বলেন, এখন নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। কদিন আগেই সিএমভির ব্যানারে আমার ‘ভুলে যেতে শিখিনি’ শীর্ষক একটি গান প্রকাশ হয়েছে। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার আরো কিছু গান সামনে প্রকাশ হবে বিভিন্ন ব্যানার থেকে। তাছাড়া ‘গানের রাজা’ প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের গান করছি আমি। সে গানগুলোও প্রকাশ হবে সামনে। এর বাইরে চলচ্চিত্রের বেশ কিছু গান করছি। এরমধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’, ‘স্বপ্নবাজী’সহ কয়েকটি ছবির গানে কন্ঠ দিয়েছি। যে গানগুলো করেছি সেগুলো প্রকাশের পর শ্রোতা-দর্শক পছন্দ করবেন বলেই বিশ্বাস। চলতি সময়ে গানের ইন্ডাস্ট্রি কোন দিকে যাচ্ছে? ইমরান বলেন, এখন বেশ কিছু ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। কোম্পানির বাইরে এখন অনেকে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও গান প্রকাশ করছে। শেষ পর্যন্ত ভালো গানই টিকে থাকে। তাই এর কোনো বিকল্প নেই। আমি মনে করি ভালো কথা-সুরের গান প্রকাশ করলে সেটা মানুষ শুনবে ও দীর্ঘদিন টিকে থাকবে। তাই সেদিকেই মনোযোগ দেয়া উচিত। আমিও সেটা করছি। আর পরিকল্পনাটা থাকতে হবে। যেমন আমি আগামী বছরে কি কি করবো মোটামুটি তার একটা ছক একে রেখেছি। এখন আমি আগের চেয়ে বেশি সময় দিচ্ছি নতুন গানে। তাছাড়া লাইফস্টাইলেও কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। রাত তেমন একটা জাগছি না। দিনে স্টুডিওতে কাজ করছি নিয়মিত। সব মিলিয়ে সামনে শ্রোতাদের খুব ভালো কিছু উপহার দিতে চাই ।