দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাজমুস সাদাত সামসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে বিরামপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে এনজিও কর্মীর ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থান করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। ডিবি ডিএমপি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। তার বাড়ি জয়পুরহাট বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিরামপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আবরার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নাজমুস সাদাত সামস বিরামপুরের কাটলা সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বিরামপুর থানার সহযোগিতায় উপজেলার কাটলা গ্রামে অভিযান চালায়। তার জনৈক আত্মীয় রফিকুলের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে কয়েকদিন ধরে সেখানে অবস্থান করছিল ও ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’-এর ম্যানেজার মো. লিটন হোসেন জানান, গত কয়েক দিন আগে জয়পুরহাট জেলার সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুস সাদাতকে রেখে যান। সে হত্যা মামলার আসামি এটা আমরা জানতাম না। তার বাড়ি জয়পুরহাট বলে পুলিশ জানায়। পরে তাকে ঢাকা থেকে আসা গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, ডিএমপির ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর কাটলা বাজারের রফিকুল ইসলামের পরিচালিত ‘সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড’ নামের একটি এনজিওতে অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে নাজমুস সাদাত সামসকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নেয়া হয়।
সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের ম্যানেজার মো. লিটন হোসেন জানান, গত কয়েক দিন আগে জয়পুরহাট জেলার সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিজের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুস সাদাতকে রেখে যান। সে হত্যা মামলার আসামি এটা আমরা জানতাম না।
ম্যানেজার লিটন জানান, সাবেক ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক রফিকুল ইসলামের পরিচিত। স্থানীয় কাটলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেন জানান, আলোচিত হত্যা মামলার আসামি নাজমুস সাদাত সামস ভারতে পালানোর উদ্দেশ্যে সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের কর্মী পরিচয়ে লুকিয়ে ছিলেন। সে একজন হত্যা মামলার আসামি এ বিষয়ে আমরা জানতাম না।
এ বিষয়ে জানতে সততা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক রফিকুলের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।