সাকিব আল হাসান মাথা পেতে নিয়েছেন শাস্তি। আইসিসি ২ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছে। অবশ্য শর্ত আছে এর মধ্যে একবছর তিনি মাঠে কোনো ধরনের ক্রিকেটই খেলতে পারবেন না। পরের এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। খেলতে পারলেও আবারো এমন কোনো ভুল করলে সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হবেন। তার মানে স্পষ্ট আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না। যাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে অনেক বড় শূন্যতা মনে করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তার পরিবর্তে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করা হয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে।
অন্যদিকে এই সফরের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মুমিনুল হক সৌরভের নাম। সেই সময় সাকিবকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার খুবই খারাপ লাগছে যে, আগামী এক বছর দেশের সেরা ক্রিকেটারকে পাবো না। এটি খারাপ লাগার মতোই একটি ঘটনা।’ মুমিনুল ১১তম টেস্ট অধিনায়ক।
অন্যদিকে টেস্টে মুশফিকুর রহীম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার থাকতেও কেন মুমিনুলকে অধিনায়ক করা হয়েছে তা নিয়ে আসে প্রশ্ন। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন জানান, অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তাই এই প্রশ্নের উত্তর দেন বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘আসলে মুমিনুলকে ভবিষ্যতের কথা ভেবেই টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছে। ও এই ফরম্যাটে আমাদের সেরা ক্রিকেটার। এ ছাড়াও শ্রীলঙ্কা সফরে ‘এ’ দলের হয়ে দারুণ করেছে অধিনায়ক হিসেবে।’ এ ছাড়াও সাকিবের অভাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সাকিবের অভাব আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতি। সাকিব আমাদেরই নয় বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছে ও। তবে এটাও ভালো যে, আমাদের ক্রিকেটাররা এমন ভুল আর করবে না।’ আরেক নির্বাচক ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে সংবাদটি আসলেই মন খারাপ হওয়ার মতো। খুবই খারাপ লাগছে।’
এ ছাড়া সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা, তামিম ইকবালের পারিবারিক কারণ ও ইনজুরির কারণে সরে দাঁড়ানো এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ইনজুরির কারণে টি- টোয়েন্টি স্কোয়াডেও তিনটি পরিবর্তন এসেছে। সাকিবের জায়গায় তাইজুল ইসলাম, সাইফুদ্দিনের জায়গায় আবু হায়দার রনি, তামিমের জায়গায় মোহাম্মদ মিঠুনকে নেয়া হয়েছে। এরপর ঘোষণা করেন টেস্ট স্কোয়াড।
ভারত সফরে বাংলাদেশের টেস্ট স্কোয়াড: সাদমান ইসলাম, ইমরুল কায়েস, সাঈফ হাসান, মুমিনল হক সৌরভ, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাইম হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী এবং এবাদত হোসেন।