সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)এর হাত রয়েছে রয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক। সামনে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ভারত সিরিজ। গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজের আগে পুরোনো একটি ইস্যুতে সাকিবকে নিষিদ্ধ করায় ভারতের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দলের সাবেক এই অধিনায়ক।
সাকিবদের ধর্মঘটের পর গত ২২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের খবর আসছে’ বলে উক্তি করেছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল ইসলাম পাপন। পাপনের এই বক্তব্যের কথা উল্লেখ্য করে বিএনপির এই ক্রীড়া সম্পাদক বলেন, ‘আমার মনে হয় বিসিবি সবকিছুই জানতো এবং পাপন সাহেব যে বলেছেন, তার কোনো ধারণাই ছিল না, কথাটা সত্য নয়। ২২ অক্টোবরের বক্তব্যে মনে হচ্ছিল পাপন সাহেব আইসিসির ঘোষণার জন্য অধৈর্য হয়ে অপেক্ষা করছিলেন।’ সাকিবের পাশে দাঁড়াবে বিসিবি, এমন আশ্বাসকেও বিশ্বাস করার মতো নয় মনে করছেন আমিনুল হক। তার মতে কেউ যখন অপরাধ করে, সুবিচার প্রাপ্য। বিসিবি কমপক্ষে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানোর চেষ্টা করতে পারতো। দুঃখ লাগছে যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এই জায়গায় সাকিবের পাশে দাঁড়ায়নি।
এখন অযথা মায়াকান্না দেখাচ্ছে। পাশাপাশি ভারত সফরের আগে এই ঘটনা ঘটায় সন্দেহের উদ্বেগ হচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের কাছে নিজেদের স্বার্থ বিলিয়ে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে ভারত বিরোধী একটি স্ট্যাটাস দেয়ায় আওয়ামীলীগের পেটুয়া বাহিনী বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমার মনে হচ্ছে এখানেও ভারতের স্বার্থের কারনে সাকিবকে বলি দিয়েছে বিসিবি।