ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলামের নেতৃত্বে আজাদি মার্চ ইসলামাবাদ পৌঁছেছে। এতে যোগ দিয়েছেন দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মানুষ। ইমরান খানের বর্তমান সরকারকে অবৈধ ও ব্যর্থ দাবি করে তার পদত্যাগ দাবি করছেন কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আন্দোলনের নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান। তার আহবানেই সর্তবাÍক আন্দোলন গড়তে আজাদি মার্চে যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধান দুই বিরোধী দল। এ খবর দিয়েছে ডন।
ইসলামাবাদে চলমান এই আন্দোলনকে বলা হচ্ছে ক্ষমতায় বসার পর ইমরান খানের জন্য সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনের পূর্বে ধ্বংস হওয়া পাকিস্তানের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু গত এক বছরে এ অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে।
তা থেকেই এ আন্দোলনের সূত্রপাত। বিরোধী দলগুলো এখন বলছে এই সরকার অবৈধ এবং সামরিক বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছে। তবে দেশটির সেনাবাহিনী বরাবরই এমন দাবি অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ইমরান খান পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাস্তায় কোনো ঝামেলা হলে তা তিনি সৈহ্য করবেন না। এ নিয়ে জমিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম বলছে, এখানে অঘোষিত মার্শাল ল চলছে। হুমকি দিয়েছে, প্রয়োজনে সরকারকে টেনে নামাতে আন্দোলনে সকল মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা হবে।
ইতিমধ্যে সরকার ইসলামাবাদে সর্বাÍক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। প্রস্তুত রয়েছে যে কোনো অবস্থার জন্য। ক’টনৈতিক এলাকাগুলো থেকে খুব কাছ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে। ফলে সেসব এলাকার রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ইসলামাবাদের স্কুল-কলেজ। বেশিরভাগ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া বন্ধ সকল ধরণের গণ পরিবহনও।
আন্দোলন থেকে একজন বলেন, আমার পরিবার ইমরান খানকে ভোট দিয়েছিলো যাতে তিনি আমাদের অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।