নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে ভারতের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি থেকে হায়দরাবাদ, লক্ষ্ণৌ, মুম্বই, কলকাতায় বিক্ষোভ হচ্ছে আজ সোমবার। এর আগেরদিন রোববার সন্ধ্যায় দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বেধড়ক মারপিট করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে পুলিশ। এর প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ হচ্ছে ওইসব শহরে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, স্বার্থান্বেষী গ্রুপগুলোকে আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে দেয়া হবে না। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার পত্রিকা।
ওদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরোধিতায় আজ সোমবার মাঠে নেমেছেন। কলকাতার ঐতিহাসিক ময়দানের কাছে রেড রোডের আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ থেকে তার নেতৃত্বে মিছিল বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখান থেকে জোড়াসাঁকো পৌঁছে মঞ্চে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িকে সাক্ষী রেখে কয়েকটা কথা বলতে এসেছি। এক সময় যখন বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল, কিন্তু মুসলিমের হাতে রাখি পরিয়ে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ গান গেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অন্যদিকে মোদি বলেছেন, এখন সময় হলো শান্তি, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার। সবার প্রতি আমার আবেদন যেকোনো প্রকার গুজব ও মিথ্যা থেকে দূরে থাকুন। আমি আমার ভারতবাসীকে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, নাগরিকত্ব সংশোধিত আইনে যে কোনো ধর্মের কোনো ভারতীয় নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এই আইন নিয়ে কোনো ভারতীয়র উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এই আইনটি শুধু তাদের জন্য, যারা অনেক বছর বাইরে নির্যাতিত হয়েছেন এবং তাদের ভারত বাদে যাওয়ার জায়গা নেই। তিনি আরো বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন নিয়ে যে সহিংস প্রতিবাদ হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক ও গভীর হতাশার। বিতর্ক, আলোচনা, ভিন্নমত হলো গণতন্ত্রের আবশ্যক অংশ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, জন সম্পদ ক্ষতি করা, স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্ন ঘটানো।