চট্টগ্রাম পর্বে লড়াইয়ে নামার আগে অনুশীলনে ঘাম ঝরালেন লিটন কুমার দাসও। আর অনুশীলনের ফাঁকে জানালেন, ফ্লাডলাইটে ব্যাটিংয়ে তার চোখে কোনো সমস্যা হয় না। সর্বশেষ কলকাতা টেস্ট শুরুর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল, রাতে গোলাপি বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে লিটনের। যেটা সত্য নয় বলে জানালেন লিটন দাস। গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রেসবক্সের সামনে নেট অনুশীলন করছিল খুলনা টাইগার্স। উল্টো দিকে প্যাভিলিয়ন প্রান্তে রাজশাহী রয়্যালস।
বঙ্গবন্ধু বিপিএল ক্রিকেটে আজ মুখোমুখি হবে রাজশাহী-খুলনা। ঢাকায় রাজশাহীর জেতা দুটি ম্যাচেই রান পেয়েছেন (৩৯ ও ৪৪*) লিটন।
আর রাজশাহী জয় পেয়েছে ৮ ও ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে। টপঅর্ডার ফর্মে থাকায় এখনও ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে রাসেল। এবারের বিপিএলের আগে সবশেষ বাংলাদেশের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে খেলেছেন লিটন। সেটি ছিল গোলাপি বলে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। কলকাতায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে লিটনের ২৭ বলে ২৪ রানের ছান্দিক ইনিংসটি দুর্ভাগ্যক্রমে শেষ হয়েছিল মাথায় আঘাত পেয়ে। লিটন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরেছিলেন ড্রেসিং রুমে। তার জায়গায় বাংলাদেশের প্রথম ‘কনকাশন বদলি’ হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কলকাতা টেস্ট শুরুর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল, রাতে গোলাপি বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে লিটনের। কথাটা সত্য কি না, এ প্রশ্নের জবাবে লিটন মনে করিয়ে দিলেন সংবাদমাধ্যমের দায়িত্ব। ২৫ বছর বয়সী লিটন বলেন, ‘বিষয়টি নির্ভর করে আপনাদের ওপর। যদি বল দেখতে সমস্যা হতো তাহলে প্রথম বল থেকেই খেলতে পারতাম না। এটা আমার কাছে সমস্যা না। এখন আপনারা এ খবর যেভাবে দেবেন, সেভাবেই আসবে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে মানুষ কিন্তু অনুসরণ করে। মানুষ কিন্তু ভাবতে পারে লিটন হয়তো বর্ণান্ধ।’ মাথায় সেই আঘাত পাওয়ার পর কেমন কেটেছে লিটনের? লিটন বলেন, ‘মানসিকভাবে তেমন চাপে ছিলাম না। তবে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর যেমন হয়ে থাকে, ব্যথা করেছে এবং মাথা একটু ভার ভার লেগেছে। তবে আঘাত লাগার পর উঠে গিয়ে ব্যাট করার মতো অবস্থা ছিল না।’ এবার বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা ভালো করছে বলেই মনে করেন লিটন। ভালো টেকনিকের জন্য লিটনকে দেশের টপ অর্ডারের ভবিষ্যৎ বলে মনে করেন অনেকে। আর লিটন মনে করিয়ে দিলেন বাস্তবতা। তিনি বলেন, ‘টেকনিক নিয়ে কি কেউ প্রত্যাশা করে? সবাই পারফরম্যান্স চায়। পারফর্ম করলে সব ঠিক। পারফর্ম করতে না পারলে টেকনিক থাকলে কি (দলে) খেলবো?’