সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ফ্যাশন,লাইফ স্টাইল ও বিজনেজ ম্যাগাজিন ক্লিক এর আয়োজনে চট্টলার বীর তারুণ্যের কান্ডারী সম্মাননা ও এওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন সহ সাত জন গুনী ও সফল ব্যক্তিত্ব ও ছয় জন তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে সফলতার শুভেচ্ছা স্বারক তুলে দেওয়া হয় । অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান, প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুক খন্দকার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পরিচালক মো: শাহাবুদ্দিন কোরেশী, তরুন উদ্যোক্তা বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, শৈবাল দাস সুমন (কমিশনার), লায়ন শহীদুল মোস্তফা মিজান (সমাজসেবক), সন্তোষ কুমার চাক্মা পরিদর্শক (পিবিআই), লতিফা আনসারী রুনা (সাংবাদিক), ইমরান আহমেদ (উদ্যোক্তা), সাফিয়া গাজী রহমান (সমাজ সেবক), ওস্তাদ মিহির লালা (সঙ্গীতজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব), আলহাজ্ব আলী আব্বাস (সাংবাদিক ও ক্রীড়া সংগঠক), এস এম আবু তৈয়ব (শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী) পেশাজীবি হিসাবে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহকে এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার ও গ্রæমিং মেন্টর কৃষাণ ভূঞা ও মিঃ ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন মেহেদী হাসান ফাহিমকে তারুণ্যের কান্ডারি শুভেচ্ছা এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। আরাফাত রূপকের সঞ্চালনায় মূল আলোচনায় প্রধান আলোচক গোলাম ফারুখ খন্দকার বলেন, একটি সৎ, সাহসী জাতি গঠনে এধরণের উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখবে। মানুষের সেবায় সকলকে এগিয়ে আসতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। সম্মাননা প্রাপ্ত অতিথি পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শাহাবউদ্দিন কোরেশী বলেন, এই সম্মাননা পেয়ে আমি জাতির কাছে দায়বদ্ধ হয়ে গেলাম। সিএমপি কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন সমাজের সম্মানিত ও গুণীজনদের মরনোত্তর নয়, জীবদ্দশায় সম্মানিত করতে হবে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ক্লিক এর এই আয়োজনে চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের বীর হিসাবে উপাধী দিয়ে অনুপ্রাণীত করায় প্রতি বছরই চট্টগ্রামে বীরের জন্ম হবে। সম্মাননা অনুষ্ঠানে শিক্ষা উদ্যোক্তা ও সমাজ সেবক সাফিয়া গাজী রহমান বলেন, আমি ভাবি আরও কিছু করলাম না কেনো? তাহলে হয়তবা জীবনটা পরিপূর্ণ হতো। শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করলে একটা জীবনের সমাপ্তি ঘটে, আর শুরু হয় আর একটি জীবন যার জন্য সকলেরই কিছু করা উচিত। অঢেল সম্পদ রেখে মৃত্যুবরণ করলে সেই জীবনের পরিপূর্ণতা আসে না। জীবদ্দশায় মানুয়ের কল্যাণে কাজ করতে পারলেই বেচেঁ থাকা যায় মানুষের অন্তরে। সুতরাং সম্পদশালী হয়ে নয় আমরা বেচেঁ থাকবো কল্যাণকর কাজের মাধ্যমে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ক্লিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক জালাল উদ্দিন সাগর। তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমরা এরকম আয়োজন করে থাকি। বিজয়ের মাসে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। সভাপতির বক্তব্যে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, আজকে যারা তারুণ্যের কান্ডারী আগামীতে তারাই চট্টলার বীর, তাদের নেতৃত্বেই আগামী দিনে চট্টগ্রাম এগিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে ৫ জন ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদেও হাতে তুলে দেওয়া হয় আর্থিক সাহায্য ও উপহার সামগ্রী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাচ, গান দর্শকদের মোহিত করে। পরে দেশীয় পোশাকের প্রদর্শনীতে একটি দেশজ ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাশন হাউজ বিশ্ব রঙ, ম্যানডোলিন, মুনমুনস এর নানান রকমের ডিজাইনের পোশাকে পরিবেশীত হয় বর্ণীল ফ্যাশন শো। ফ্যাশন কোরিও গ্রাফার কৃষান ভূঁইয়া, লিটন দাশ লিটু এর কোরিও গ্রাফিতে র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করেন নতুন, পুরোনো প্রায় ৪০ জন ফ্যাশন মডেল। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিচালক রিয়াঙ্কা ও উর্মিলার নৃত্য পরিচালনায় পরিবেশিত হয় কয়েকটি দলীয় নৃত্য যা দর্শকদের নজর কাড়ে। অনুষ্ঠানের সার্বিক তথ্যাবধানে ছিলেন সজীব মির্জা ও শাহীন উদ্দিন।