টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিলেন মেহেদী হাসান রানা। উইকেট শিকারে তার সঙ্গে যোগ দিলেন রুবেল হোসেন, কেসরিক উইলিয়ামস। আর প্রথমবারের মতো বিপিএলে খেলতে নেমে নিজের ব্যর্থতার পর দরে হার দেখলেন হাশিম আমলা। বঙ্গবন্ধু বিপিএল’র ৩৩তম ম্যাচে গতকাল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের এই তিন পেসারে নাকাল খুলনা টাইগার্সের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১২১ রানে । জবাবে ১১ বল ও ছয় উইকেট হাতে রেখে টার্গেট পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এতে আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ইমরুল-মাহমুদুল্লাহর দল। আসরে ১০ ম্যাচে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আসরে দারুণ শুরুর পর হঠাৎ খেই হারিয়ে ফেলা খুলনা টাইগার্স।
আগের ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের কাছে ১২ রানে পরাজিত হয় মুশফিকুর রহীমের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী-লেন্ডল সিমন্স। ১০.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৯ রান জমা করে আউট হন লেন্ডল। ২৮ বলে ৩ চার ও ২ চক্কায় ৩৬ রান করেন এই ক্যারিবীয় তারকা। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন জুনায়েদ সিদ্দিকীও। এক সময় জাতীয় দলে খেলা এই ওপেনার ৩৯ বলে করেন ৩৮ রান। তাতে ছিল ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কার মার। ৭ রানের ব্যবধানে আসেলা গুনারত্নে (৭) ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের (০) উইকেট তুলে নেন খুলনার প্রোটিয়া পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক। তবে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের হার না মানা ২৭ বলে ৩০ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম। চলতি আসরে প্রথম দেখায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল খুলনা টাইগার্স।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে খুলনা টাইগার্স। প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার। মাত্র ৮ রানে পেসার মেহেদী হাসান রানার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। আমলার আগে মেহেদী মিরাজকে ফিরিয়ে চট্টগ্রামকে দারুণ শুরু এনে দেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক মেহেদী রানা। তিনে নামা শামসুর রহমান কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। দলের রান তখন ১৪। রাইলি রুশো অধিনায়ক মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। ৪৯ রানের জুটি গড়ার পর ২৪ বলে ২৯ রান করে জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হন খুলনা অধিনায়ক মুশফিক। একপ্রান্ত আগলে খেলতে থাকা রাইলি রুশোকে ৪৮ রানে ফেরান কেসরিক উইলিয়ামস। পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে রবি ফ্রাইলিঙ্ক (১৭) কেবল দুই অংকের কোঠায় যেতে পারেন। ৬ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯.৫ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় খুলনা। চট্টগ্রামের দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মেহেদী হাসান রানা ৩টি করে উইকেট নেন। কেসরিক উইলিয়ামসের শিকার ২ উইকেট। ১৭ উইকেট নিয়ে চলতি বিপিএল-এ সবার উপরে চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার রানা। পঞ্চম স্থানে থাকা রুবেল হোসেনের শিকার ১৩ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ফিল্ডিং
খুলনা টাইগার্স: ১৯.৫ ওভারে ১২১ (মুশফিক ২৯, রুশো ৪৮, ফ্রাইলিঙ্ক ১৭; রানা ৩/২৯, রুবেল ৩/১৭, উইলিয়ামস ২/২১)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৮.১ ওভারে ১২৪/৪ (সিমন্স ৩৬, সিদ্দিকী ৩৮, ইমরুল ৩০*; ২/২০)
ফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: মেহেদী রানা (চট্টগ্রাম)