সিডনি টেস্টে নাথান লায়নের কাছেই যেন হেরে গেল নিউজিল্যান্ড। উভয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ ম্যাচে ১০ উইকেটের কৃতিত্ব দেখালেন এ অফস্পিনার। এতে চতুর্থ দিনে ৪১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ২৭৯ রানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হয় কিউইরা। নাথান লায়ন- মিচেল স্টার্ক তোপে মাত্র ৪৭.৫ ওভার টেকে কিউইদের ইনিংস। ব্যক্তিগত এক অঙ্কের রানে সাজ ঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের ৭ ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। স্টার্কের শিকার ৩ উইকেট।
পার্থে দিবারাত্রির টেস্টে ২৯৬ রানে জিতে ট্রান্স-তাসমান সিরিজ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া।
আর মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে কিউইদের ২৪৭ রানে হারায় তারা। তিন টেস্টের কোনোটিই পঞ্চম দিনে গড়ায়নি। গত ২৬ বছরে অস্ট্রেলিয়ায় ৩১ টেস্ট খেলে মাত্র একটি জিতেছে নিউজিল্যান্ড (২২ হার, ৭ ড্র)। সবশেষ ১৯৯৩’র এপ্রিলে। ৩-০ ব্যবধানে জিতে এ সিরিজ থেকে পূর্ণ ১২০ তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ২৯৬ পয়েন্ট। এবারের গ্রীষ্মে ৫ টেস্টের সবগুলোই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে পাকিস্তানকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে টিম পেইনের দল। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর প্রথমবার হোম সামারের সবগুলো টেস্ট (কমপক্ষে ৫ ম্যাচ) জিতলো দলটি। ৭ ম্যাচে ৩৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে আছে ভারত।
ম্যাচ সেরা ও সিরিজ সেরা দুটি পুরস্কারই জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন। ট্রান্স তাসমান সিরিজে তিন ম্যাচে ৯১.৫০ গড়ে তার সংগ্রহ ৫৪৯ রান। দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে ৩ ফিফটি হাঁকিয়েছেন লাবুশেন। সর্বোচ্চ ২১৫। অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে ১১২ গড়ে তার সংগ্রহ ৮৯৬ রান। হোম সিজনে লাবুশেনের চেয়ে বেশি রান করতে পেরেছেন কেবল রিকি পন্টিং (৯৬৫ রান, ২০০৩-০৪ ও ৯৪৪ রান, ২০০৫-০৬) আর ম্যাথু হেইডেন (৯৫২ রান, ২০০৩-০৪ ও ৯৪৯ রান, ২০০৫-০৬)। ৩ ম্যাচে ১৭.২৫ গড়ে সর্বাধিক ২০ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার নাথান লায়ন। সিডনিতে ১০ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ১০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন লায়ন।
এর আগে ডেভিড ২১৭/২ সংগ্রহ করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। মারনাস লাবুশেন ৫৯ রান করে আউট হন। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। ক্যারিয়ারে ২৪তম টেস্ট সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বাধিক সেঞ্চুরিয়ানের তালিকায় নবম স্থানে উঠে এসেছেন ওয়ার্নার। প্রথম ইনিংসে লাবুশেনের ২১৫ রানের অনবদ্য ইনিংসে ৪৫৪ রান তোলে অজিরা। জবাবে ২৫৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।