সৌম্য সরকার ও ডেভিড মালানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে শেষ চারে খেলার স্বপ্ন বেঁচে রইলো কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষ পর্বে দিনের প্রথম ম্যাচে এরই মধ্যে বিদায় নেয়া সিলেট থান্ডারকে ৫ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
এবারের আসরের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা সিলেটের দেয়া ১৪২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাইম হাসানের স্পিন ঘুর্ণিতে দ্বিতীয় ওভারেই ফারদিন হাসানের (১ রান) উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলের রান তখন ২। দলীয় ১০ রানে উপুল থারাঙ্গাও (৪ রান) ফিরে যান নাইমের শিকার হয়ে। এরপর অধিনায়ক ডেভিড মালান মাহিদুল ইসলামকে নিয়ে বিপর্য়য় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। মাহিদুল ১১ রান করে নাইমের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরে গেলে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসেন সৌম্য সরকার। চলমান আসরে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে ব্যর্থ সৌম্য আর ডেভিড মালান দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকেন। এবাদতের শিকার হয়ে ৫৮ (৪৯ বলে) রানে মালান ফিরে গেলে দলীয় ১০৪ রানে ভাঙ্গে ৭২ রানের জুটি।
সৌম্য সরকার ৩০ বলে ৫৩ রান (২ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারি) করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। এ জয়ে শেষ চারে কুমিল্লার সম্ভাবনা আরো জোরালো হলো। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলে শেষ চার নিশ্চিত কুমিল্লার। এক ম্যাচ জিতলেও সম্ভাবনা থাকবে। ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট কুমিল্লার। ৯ ম্যাচ খেলা খুলনা টাইগার্সের পয়েন্টও ১০। রান রেটে এগিয়ে থাকায় চারে খুলনা। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রাজশাহী ও চট্টগ্রাম। ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে থাকা ঢাকা প্লাটুন খেলেছে ৯ ম্যাচ। ১০ খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে রংপুর রেঞ্জার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা সিলেটের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচারকে ২২ রানে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন পেসার আল আমিন হোসেন। দলের রান তখন ৫.২ ওভারে ২৭। তিনে নেমে রানের গতি বাড়াতে থাকা জনসন চার্লসকেও (১৫ বলে ২৬) ফেরান আল আমিন। মোহাম্মদ মিঠুন এসে রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ। দলীয় ১০৮ রানে মুজিব-উর-রহমানের বলে আউট হওয়ার আগে ২৫ বল খেলে মাত্র ১৮ রান করেন মিঠুন। এরপর ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন জীবন মেন্ডিস। ১১ বলে ২৩ রানে মেন্ডিসকে ফেরান ডেভিড উইজ। পরের বলেই আউট একপ্রান্ত আগলে রাখা সিলেটের ওপেনার মজিদ (৪০ বলে ৪৫ রান)। ডেভিড উইজ হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও নাজমুল হোসেন মিলন তা ঠেকিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট ১৪১ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। আল আমিন ও ডেভিড উইজ নেন ২টি করে উইকেট।