সাত কোটি টাকায় সংস্কার করা হয়েছিল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অল্প বৃষ্টিতেই গর্ত হয়ে গেছে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের কোর্টে। আটটি কোর্টের একই হাল। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্রীড়া পরিষদের কোটি কোটি টাকা গচ্চা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে টেনিস খেলোয়াড়সহ কর্মকর্তাদের মধ্যে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের রমনাস্থ টেনিস কমপ্লেক্স সংস্কারের দরপত্র দেয়। সাত কোটি ৬০ লাখ টাকার কাজ বাগিয়ে নেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ।
জানা গেছে, তিনি দু’টি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পুরো কমপ্লেক্সের সংস্কার কাজ করান। পরবর্তীতে এক নারী ক্রীড়াবিদকে শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত হলে ওই পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। কিন্তু যাওয়ার আগে চরম দুর্নীতির মাধ্যমে টেনিসের সংস্কার কাজ করে গেছেন তিনি। যার প্রমাণ টেনিস কোর্টের বর্তমান অবস্থা। ক’দিন আগে হালকা বৃষ্টিতেই কোর্টে গর্তের সৃষ্টি হয়। সূত্রে জানা গেছে, টেনিস কোর্টের এমন বেহাল দশার ছবি তুলতে গেলে সেখানকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা ফটো সাংবাদিককে প্রবেশে বাধা দেন। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও হয়। টেনিস কোর্টের বেহাল অবস্থা নিয়ে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এএসএম হায়দার বলেন, ‘প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকায় সংস্কার কাজ করা হয়েছে। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে প্রত্যেকটি কোর্টেই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্নীতি করেছেন সংস্কার কাজ বাগিয়ে নেয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ। দোষী কম নয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কথামতো কাজ না করেই অনেক বিল তুলে নেয়া হয়েছে। সরকারি কোষাগারের অর্থ লুটপাট এবং কাজ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, পুরো কমপ্লেক্সের জন্য দরপত্র হয়েছিল সাত কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু আটটি খেলার কোর্ট ও একটি অনুশীলন কোর্টের জন্য বরাদ্দ ছিল তিন কোটি টাকা।