ক্যারিয়ারের শুরুতেই নিজেকে ছোট পর্দার একজন সুঅভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন লাক্সসুন্দরী আজমেরী হক বাঁধন। চলচ্চিত্রেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তবে মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন কারণে অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন তিনি। অবশ্য বছর খানেক আগেই নতুন রূপে ফিরেছেন এ অভিনেত্রী। একেবারে বদলে যাওয়া বাঁধন। নিজের ওজন কমানোর পাশাপাশি শারীরিকভাবে যেমন নিজেকে ফিট করে তুলেছেন তেমনি ভালো কাজ নিয়ে এগিযে যেতে মানসিকভাবেও বদ্ধপরিকর বাঁধনকে আবিষ্কার করা গেছে। সব মিলিয়ে তার এই ফেরা বেশ চমক তৈরি করে ভক্তদের মাঝে। তবে একটি কারণে গত এক বছর এ অভিনেত্রীকে নাটক, বিজ্ঞাপন বা সিনেমার কোনো কাজে পাওয়া যায়নি।
যদিও অবশেষে এর কারণ জানিয়েছেন বাঁধন। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ফিরছি চমক নিয়ে। আর সে জন্যই এই বিরতি নিয়েছিলাম। এদিকে সব মিলিয়ে এখন কেমন আছেন বাঁধন? দিনকাল কেমন কাটছে তার জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেশ ভালো। সুন্দরভাবে নতুন বছরটা শুরু করেছি। বলতে পারেন আমার একমাত্র মেয়েকে নিয়ে খুব ভালো আছি। কিন্তু এক বছরের এই বিরতি কেন? একটু বিস্তারিত জানতে চাই। বাঁধন হেসে বলেন, বিস্তারিত বলা বারণ আছে! তাছাড়া আমি নিজেও চাচ্ছি আর কিছুদিন পর সব কিছু জানাতে। তবে এতটুকু বলতে চাই, গত এক বছর আমি নিজেকে সময় দিয়েছি। ভালো একটি কাজের জন্যই এত লম্বা সময় দেয়া। এই সময়টাতে নিজেকে প্রস্তুত যেমন করেছি তেমনি সেই কাজটির শুটিংয়েও অংশ নিয়েছি। বলতে পারেন এ কাজটি আমার জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা একটি মাইলফলক ছিলো আমার ক্যারিয়ারে। ঠিক এ কাজটিও একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে বলেই আমার বিশ্বাস। খুব ভালো একটি কাজ করেছি। বেশ কিছু চমক রয়েছে এতে। আনুষ্ঠানিকভাবে খুব শিগগিরই তা সবাইকে জানানো হবে। বাঁধন এ বিষয়ে আরো বলেন, এ কাজটির জন্য কিন্তু আমি অন্য কোনো কাজই করিনি। এরমধ্যে অনেক প্রস্তাব ছিলো। কিন্তু আমি সেসব ফিরিয়ে দিয়েছি। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি খুব বিশেষ একটি কাজ। এদিকে চলতি বছরের প্রথম দিনটি একটি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শুরু করেছেন বাঁধন। সামাজিক ও সাইবার সচেতনতামূলক এই ক্যাম্পেনটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই বাঁধনের এমন পদক্ষেপ। #Endbullyingno- কি্যাম্পেইন সম্বলিত নিজের একটি ছবি প্রকাশ করেন তিনি। সঙ্গে নিজের ভাবনার কথাও শেয়ার করেছেন। এ বিষয়ে বাঁধন বলেন, এই ক্যাম্পেইন শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজ ও সাইবার সচেতনতার জন্য করেছি। সালমা আদিল এ ক্যাম্পেইনটি শুরু করেছেন। বিষয়টি তিনি আমাকে অবহিত করার পর মনে হয়েছে এতে আমারও অংশ নেয়া উচিত। কারণ ‘বুলজম’ এখন ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে। আমরা প্রতিনিয়ত বুলিড হচ্ছি। যার যার জীবন সে তার মতো চালাবে। যদি আমার কথা বলি, আমি একজন ডিভোর্সি। আমার কন্যা সন্তান রয়েছে। এবং আমি ভালো আছি। আমার মতো করে জীবন চালাচ্ছি। কিন্তু অন্য কেউতো আমাকে আঘাত করে কথা বলতে পারেন না। এখন এটাই অনেক বেশি হচ্ছে। অনেক হয়েছে। এবার থামা উচিত। এসব না করে ব্রেনটা ভালো কাজে লাগানো উচিত। অনেক গুণীজন আমাকে বিষয়টি নিয়ে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। আসলে কাউকে আঘাত করার কথাতো ধর্মেও নেই। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। নতুন করে জীবন শুরু অর্থাৎ বিয়ে নিয়ে কিছু কি ভাবছেন? বাঁধন আত্নবিশ্বাসের সুরে বলেন, সত্যি বলতে আমার পরিবারও চায় আমি সংসারী হই। আমিও মনে করি সেটেল হওয়া উচিত। কিন্তু ভেবে চিন্তে তারপরই সিদ্ধান্ত নিবো। কারণ নতুন কারো সঙ্গে পথচলা সহজ হবে না। অনেকে অভিনেত্রী বিয়ে করতে পারাটাই জীবনের বড় পাওয়া মনে করেন। যেটা আমার প্রাক্তন স্বামীও হয়তো মনে করেছিলেন। কিন্তু অভিনেত্রীদের সঙ্গে পথচলা অনেক কঠিন। একজন সাধারণ মানুষ, যিনি সাধারণভাবে দিনযাপন করেন তার সঙ্গে আমার পথচলা সম্ভব নয়। আমার সঙ্গে পথ চলতে পারে এমন মানসিকতার কারো সঙ্গে সেটেল হতে চাই। আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই অনেক চিন্তা করে আমি এগুতে চাই।