দ্বিতীয় দিনের মতো সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে ইরানে। রাজধানী তেহরান সহ বিভিন্ন শহরে এই বিক্ষোভ থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে। রাজপথে দায়িত্ব পালন করেছে দাঙ্গা পুলিশ, অভিজাত রেভ্যুলুশনারি গার্ড ও সাদা পোশাকে নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সরকার বিরোধীদের টার্গেট করা উচিত নয় ইরানের। ট্রাম্পের ভাষায়, ‘বিশ্ব দেখছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো (ইরান পরিস্থিতি) পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র’। ওদিকে ইরাকে বৃটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকেয়ারকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে বৃটেন। পরে অবশ্য ওই রাষ্ট্রদূতকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি বিশ্বাস করেন ইরানের হামলার ঝুঁকিতে ছিল যুক্তরাষ্ট্রের চারটি দূতাবাস।
তবে রোববার তার এমন বিশ্বাসকে উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। তিনি সিবিএস টেলিভিশনের ফেস দ্য নেশন অনুষ্ঠানে রোববার বলেছেন, ইরান যে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ তিনি দেখতে পান নি। তবে ইরান হামলা চালাতে পারতো বলে সম্ভাব্যতা থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, গত বুধবার ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার কথা শনিবার স্বীকার করে ইরান। তবে এর আগে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তারা। এ জন্য শনিবারের বিক্ষোভ থেকে কর্মকর্তাদের মিথ্যাবাদী অভিহিত করা হয়। পদত্যাগ দাবি করা হয় সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির।
এর ধারাবাহিকতায় রোববারও বিক্ষোভ হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তারা বলছেন, ‘তারা মিথ্যা বলছে যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের শত্রু। আসলে আমাদের শত্রু এখানে এই দেশের ভিতরেই আছে’। এসব বিক্ষোভকারীর বেশির ভাগই নারী। তেহরানে আজাদী স্কোয়ারে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করে দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফারস বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বিক্ষোভ করেছেন ১০০০ মানুষ। বিক্ষোভ হয়েছে অন্য শহরগুলোতেও।