সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ভারতের কাছে উড়ে গেল স্বাগিতক নিউজিল্যান্ড। রোববার অকল্যান্ডে বিরাট কোহলির দলের কাছে ৭ উইকেটে হারে কিইউরা। প্রথম ম্যাচে ২০৩ রান করে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ড। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৩২ রানের পুঁজি গড়ে তারা। ওপেনার লোকেশ রাহুলের হার না মানা ফিফটিতে লক্ষ্যটা ১৫ বল হাতে রেখে টপকে যায় ভারত। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
রান তাড়ায় দলীয় ৮ রানে রোহিত শর্মাকে হারায় ভারত। ৬ বলে ৮ রান করে টিম সাউদির বলে সাজঘরে ফেরেন এই ডানহাতি। অধিনায়ক বিরাট কোহলিও (১১) সুবিধা করতে পারেনি।
দলীয় ৩৯ রানে সাউদির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটিতে ভারতের জয়ের রাস্তা পরিষ্কার করে ফেলেন ওপেনার রাহুল। ৫০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন শ্রেয়াস আইয়ার। যাতে ছিল এক বাউন্ডারি ও তিন ছক্কার মার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভাতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রির বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৩২/৫ সংগ্রহ করে কিউইরা। ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। জমপ্রিত বুমরাহ ২১ রানে নেন একটি। শুরুটা ভালোই ছিল নিউজিল্যান্ডের। ওপেনিং জুটিতে ৬ ওভারে আসে ৪৮ রান। মার্টিন গাপটিলকে কোহলির ক্যাচ বানিয়ে এ জুটি ভাঙেন শার্দুল ঠাকুর। ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৩ রান করেন গাপটিল। ৩৩ রানের ব্যবধানে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। রবীন্দ্র জাদেজার স্পিনে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (২০ বলে ১৪) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম (৫ বলে ৩)। এর আগে কলিন মানরোকে (২৫ বলে ২৬) ফেরান শিভম দুবে। অভিজ্ঞ রস টেইলরও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ১৮ রান করে বুমরাহর শিকারে পরিণত হন তিনি। উইকেটরক্ষক টিম সেইফার্টের ২৬ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের সুবাদে ১৩২-এ থামে নিউজিল্যান্ড।