স্ত্রীর ভরণ-পোষণ না দেয়ায় ভারগের আহমেদাবাদের এক আদালত ৪৮০ দিনের জেল দিয়েছে ওই নারীর স্বামী নরেশ রাজনী (২৯)কে। নরেশ আহমেদাবাদের শীর্ষ স্থানীয় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। ডমেস্টিক ভায়েলেন্স অ্যাক্টের অধীনে তার থেকে আলাদা থাকা স্ত্রীকে ভরণপোষণ বাবদ তাকে এক লাখ ২০ হাজার রুপি দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু এ অর্থ না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই রায় দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, মির্জাপুরে স্থানীয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হয় সোমবার। এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে স্ত্রীকে মাসে ৭৫০০ রুপি দিতে আদালত নির্দেশ দেয় নরেশকে। কিন্তু ১৬ মাস ধরে ওই অর্থ পরিশোধ করেন না নরেশ। এ অবস্থায় তার স্ত্রী আইনজীবী সেলিম সাঈদের মাধ্যমে বকেয়া এক লাখ ২০ হাজার রুপি চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন।
এর প্রেক্ষিতে সোমবার আদালতে তলব করা হয় নরেশকে।
তাকে বকেয়া পরিশোধ না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। জবাবে নরেশ বলেন, নিকট ভবিষ্যতে তিনি তার স্ত্রীকে ওই অর্থ পরিশোধে সক্ষম হবেন না। কারণ, তিনি এই অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন নি। আদালত দেখতে পায়, তার উত্তর অযৌক্তিক এবং সন্তোষজনক নয়। আদালত থেকে বলা হয়, তিনি এখনও এই অর্থ পরিশোধে প্রস্তুত নন। তাকে আর সময় দেয়ার কোনো কারণই থাকতে পারে না। কারণ, এটা হবে তার স্ত্রীর প্রতি অবিচার এবং আইনের ব্যত্যয়। তাই প্রতি মাসের খেলাপির জন্য ৩০ দিন করে তাকে মোট ৪৮০ দিন জেল দেন বিচারক।