গাজীপুরে এক গৃহবধূকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গোয়েন্দা পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ইয়াবা টেবলেটসহ গ্রেপ্তার করা ওই নারীকে নির্যাতনের প্রশ্নই ওঠে না। যদিও মরদেহটি যেখানে রাখা হয়েছে, সেই মর্গে ঢুকতে দেয়া হয়নি সাংবাদিকদের।
নিহত ইয়াসমিন বেগমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
নিহত ইয়াসমিনের ভাই-বোনসহ স্বজনরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা ইয়াসমিনের স্বামী আবদুল হাইকে মাদকসংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার করতে মহানগরের ভাওয়াল গাজীপুর এলাকার বাসায় হানা দেয়। আবদুল হাইকে না পেয়ে তার শিশু সন্তান ও ইয়াসমিনকে বিনা অপরাধে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।
স্বজনরা হাসপাতাল মর্গে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছে। তারা এর বিচার চেয়েছেন।
অবশ্য গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ওই নারীর কাছে ১০০ পিস ইয়াবা টেবলেট পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে। এছাড়াও ওই নারীর নামে দুটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। পিটিয়ে বা নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ সঠিক নয়।