নড়াইলের কামাল প্রতাপ গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে নিহত কৃষক সাফি মোল্লা (৩৫) হত্যার ঘটনায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানা পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ঘটনার জের ধরে ওই গ্রামের বিদ্যুৎ, জাহিদ জোমাদ্দার, রংগু জমাদ্দার এবং পার্শ্ববর্তী লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের আলী খা ও ওহিদার খার বাড়ি ভাংচুর, গরু-ছাগল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।জানা গেছে, গেল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামাল প্রতাপ বাজারে একটি দোকানে বসে সাফি গল্প করছিল। এ সময় আট থেকে নয়জন সন্ত্রাসী তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহত সাফি কামাল প্রতাপ গ্রামের বজলু মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোহাগ মোল্যা বাদী হয়ে গেল রোববার সন্ধ্যায় আমাদা গ্রামের সাইদ মল্লিককে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।গ্রামবাসী জানায়, কামাল প্রতাপ গ্রামে বাবুল শেখ, সাইফুল মোল্যা গ্রুপের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের বিদ্যুৎ জমাদ্দার ও পার্শ্ববর্তী আমাদা গ্রামের সাইদ মল্লিক গ্রুপের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গেল বছরের ২৫ এপ্রিল বাবুল শেখের ভাই ডাবলু শেখ প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন। এ ঘটনা আদালতে বিচারাধীন।বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের সদস্য মো. সেকান্দার আসামিদের বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট সম্পর্কে বলেন, হত্যার ঘটনার পর কিছু দুর্বৃত্ত কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর-লুটপাট করে একথা সত্য। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। তিনি এ হত্যকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ভাংচুর ও লুটপাটের কিছু ঘটনা লোহাগড়া থানাধীন আমাদা গ্রামে ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।