ইউরোপ-আমেরিকায় প্রতিদিন যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে আর সংক্রমিত হচ্ছে সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে বলে জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা এই ভালোটা ধরে রাখতে চাই।
আজ সোমবার (১৩ এপ্রিল) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।জাহিদ মালেক বলেন, দেখা যাচ্ছে লকডাউন মানুষ পুরোপুরি মানছে না। বাজারে অনেকে একত্রিত হচ্ছে, বাইরেও অনেক লোক ঘোরাফেরা করছে। আমাদের ইতোমধ্যে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে গেছে। এটা যেন না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের হাসপাতাল ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে। তবে বুঝতে হবে হাসপাতালে লাখ লাখ রোগীর চিকিৎসা কোনও দেশই দিতে পারে না। এজন্য আমাদের মূল লক্ষ্য ঘরে থাকা এবং টেস্ট করা।তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন তিনটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করছি। একটি বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি পুরানো মার্কেট এবং উত্তরার দিয়াবাড়িতে চারটি ভবন। এসব হাসপাতালের কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এগুলো প্রস্তুত করতে পারবো। ‘এছাড়াও আরও কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতালের পুরানো অংশটুকু এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুরানো বার্ন ইউনিট রয়েছে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের একটি ভবনকে আমরা তৈরি করতে বলেছি।’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শাহবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০০ বেড এবং আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭০০ বেড নেবো। এগুলো ভালো হাসপাতাল এবং সেখানে আইসিউ রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় যেসব বেসরকারি হাসপাতাল এগিয়ে আসছে তাদেরকেও আমরা তালিকাভুক্ত করে নিচ্ছি।
KAN